বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বায়ুদূষণের কারণে গর্ভপাত বাড়ছে
৮ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ২৫ পৌষ ১৪২৭, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪২
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর গর্ভবতী নারীদের মৃত সন্তান প্রসব এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে দূষিত বাতাসের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের গোল্ড ওপেন অ্যাকসেস জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ’।
চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটির তাও জিউ’র নেতৃত্বাধীন এই গবেষণায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরে আনুমানিক ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮১ জন নারীর গর্ভাবস্থার ক্ষতি হয়েছে। এর জন্য দায়ী বাতাসের পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণার উপস্থিতি।
মানবদেহের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর উপাদান এই পিএম২.৫। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মান অনুযায়ী, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ১০ মাইক্রোগ্রাম পিএম২.৫ থাকলে তাকে সহনীয় বলা যেতে পারে। সেখানে দেশে প্রতি ঘনমিটারে পিএম২.৫ আছে ৬১ মাইক্রোগ্রাম। এর ফলে ফুসফুসে ক্যানসার ও কিডনি বিকলের মতো রোগও ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে।
তাও জিউ বলছেন, ‘গর্ভাবস্থার ক্ষতিতে পৃথিবীতে দক্ষিণ এশিয়াই সবচেয়ে বেশি মাশুল গুনছে। পৃথিবীতে এই অঞ্চলের বাতাসে সবচেয়ে বেশি পিএম২.৫ পাওয়া যায়।’
এই গবেষণার জন্য বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের ৩৪ হাজার ১৯৭ জন মায়ের মেডিকেল ডেটা সংগ্রহ করা হয়, যারা কমপক্ষে একবার গর্ভপাতের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে নেয়া হয় ৩ হাজার ৬৮৭ জনকে (১১ শতাংশ), ভারতের ২৬ হাজার ২৮২ জন (৭৭ শতাংশ) এবং পাকিস্তানের ৪ হাজার ২২৮ জন (১২.৪ শতাংশ)।
গবেষকেরা বলছেন, ২০১০-১৫ সাল পর্যন্ত ১৭৮ মিলিয়ন শিশুর জন্ম হয়েছে এই তিন দেশে। এর মধ্যে প্রায় ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ শিশু মৃত অবস্থায় পৃথিবীতে এসেছে!
ঠাকুরগাঁওয়ে অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ
এই নিউজ মোট 64
বার পড়া হয়েছে