ঔষধি উদ্ভিদ পাথরকুচির ভেষজগুণ
৮ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ২৫ পৌষ ১৪২৭, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪২
পাথরকুচি ঔষধি উদ্ভিদ। পাতা মাংসল ও মসৃণ, আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো। চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ। এ খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয়। অনেক সময় গাছের বয়স হলে ওই গাছের খাঁজ থেকে চারা গজায়। পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায়। কাঁকর মাটিতে সহজেই জন্মে। তবে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে। পাতা থেকে এ গাছ জন্ম নেয়। এ উদ্ভিদটির ভেষজ গুণ ব্যাপক। সর্দিজনিত কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোঁড়া দেখা দেয়, যা মেহ নামে পরিচিত। এ ক্ষেত্রে পাথরকুচির পাতার রস এক চামচ করে সকাল-বিকাল এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়। সর্দি পুরনো হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপকারী। পাথরকুচি পাতা রস করে সেটি একটু গরম করে তার সঙ্গে একটু সোহাগার খৈ মেশাতে হবে। তিন চা-চামচের সঙ্গে ২৫০ মিলিগ্রাম যেন হয়। তা থেকে দুই চা চামচ নিয়ে সকাল ও বিকালে দুবার খেলে পুরনো সর্দি সেরে যাবে এবং সব সময় কাঁশি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। টাটকা পাতা পরিমাণমতো হালকা তাপে গরম করে কাটা বা থেঁতলে যাওয়া স্থানে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়। পিত্তজনিত ব্যথায় রক্তক্ষরণ হলে দুবেলা এক চা-চামচ পাথরকুচির পাতার রস দুদিন খেলে সেরে যাবে। পেট ফুলে গেলে, প্রস্রাব আটকে থাকলে, আধোবায়ু না সারলে চিনির সঙ্গে এক বা দুই চা-চামচ পাথরকুচির পাতার রস গরম করে সিকি কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার মেলে।
ডা. আলমগীর মতি
লেখক : হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক
প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র পরিচালনা করতে যাচ্ছেন রোজিনা
এই নিউজ মোট 442
বার পড়া হয়েছে