ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর দিল্লি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ সেপ্টেম্বর তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। তার সফরে দুই দেশের মধ্যে ‘সেপা’ (কম্পি্রহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট) নামক বাণিজ্য চুক্তি সই হতে পারে। এই চুক্তি সই হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিধি বাড়বে। কমবে বাণিজ্য ঘাটতিও।
বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি করেছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা হয় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। নতুন এই চুক্তি বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই চুক্তি হলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বছরে ৩ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে।
গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তির সম্ভাব্যতা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। এই সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়। সেপা চুক্তির লক্ষ্য হলো—বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য উপযোগী সড়ক, বন্দর ও যোগাযোগ অবকাঠামো তৈরি করা।
এছাড়া শুল্ক-অশুল্ক বাধা ও অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক অপসারণ করা। এই চুক্তি সই হলে দুই দেশ যৌথভাবে টেস্টিং সার্ভিস ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করতে পারবে। এসবের মাধ্যমে কর্মসংস্হান বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে। বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো কোনো দেশের সঙ্গে এই চুক্তি করতে যচ্ছে। যদিও ভারত ইতিমধ্যে সাতটি দেশের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি সই করেছে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি পৌঁছবেন। প্রস্তাবিত কর্মসূচি অনুযায়ী পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজঘাটে গান্ধী সমাধিস্হলে শ্রদ্ধা অর্পণ করবেন। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতে সিআইআই বা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৭ সেপ্টেম্বর যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। ভারতের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে কীভাবে উভয়পক্ষই উপকৃত হতে পারে, সে বিষয়টিই সেখানে তুলে ধরবেন তিনি। এরপর তিনি পবিত্র আজমির শরিফ দরগায় যাবেন। ৮ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা।
আরো পড়বেন : বঙ্গোপসাগরে পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও নোয়াখালীর সাত ট্রলারডুবিতে মৃত ৩, নিখোঁজ ২০২ জেলে