তেলের দাম চার বছরে সর্বনিম্ন : ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বুধবার সকালে এশিয়ার শেয়ারবাজারে আবারও পতন হয়েছে। মূলত ট্রাম্প চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্কের জবাবে চীনের পণ্যে অতিরিক্ত, অর্থাৎ মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন-এই ঘটনার জেরে আজ সকালেই এশিয়ার শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। প্রভাব পড়েছে অন্যান্য বাজারেও।
তেলের দাম ৬০ ডলার : বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আজ আরও কমেছে। জ্বালানির তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম নেমে এসেছে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে। অর্থাৎ তেলের দাম এখন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর সর্বনিম্ন। খবর বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশের জবাবে চীনের ৮৪ শতাংশ : যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের জবাবে চীন মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ১০ এপ্রিল থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্ককে নিপীড়ণমূলক আখ্যা দিয়ে তারা এই শুল্ক আরোপ করেছে। খবর বিবিসি।
নীতি সুদহার কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া(আরবিআই) : আজ যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক বাস্তবায়িত হলো, সেদিন থেকেই রেপো বা নীতি সুদহার কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। বুধবার সকালে রেপো হার ২৫ ভিত্তি পয়েন্ট কমানোর কথা ঘোষণা দিয়েছেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। ফলে রেপো হার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াল ৬ শতাংশ। খবর ইকোনমিক টাইমস।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি রেপো হার কমিয়েছিল আরবিআই। যে সুদের হারে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দেয়, সেটাই রেপো হার; এই রেপো হার কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সব ঋণের সুদের হার কমে। ফলে ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়া গ্রাহকেরা স্বস্তি পায়। ঋণের মাসিক কিস্তির অঙ্ক কমে যায়।
ক্ষতির মুখে পড়বে অ্যাপল, অ্যাডিডাস..: সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। এদের ওপর পাল্টা শুল্কের হার যথাক্রমে ১০৪ শতাংশ, ৪৬ শতাংশ ও ৪৯ শতাংশ। বৈশ্বিক ব্র্যান্ড অ্যাপল তাদের বেশিরভাগ হার্ডওয়্যার চীনে তৈরি করে। কিছু উৎপাদিত হয় ভারতে। বিখ্যাত পোশাক ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএমও তাদের অধিকাংশ পোশাক চীন ও বাংলাদেশে তৈরি করে। খবর এনডিটিভি।
ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেং লুর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক ব্র্যান্ড গ্যাপের পরিচালনায় থাকা ওল্ড নেভি, ব্যানানা রিপাবলিক ও অ্যাথলেটার প্রায় ২১ শতাংশ পোশাক ভিয়েতনাম থেকে রপ্তানি হয়। নাইকির প্রায় অর্ধেক ও অ্যাডিডাসের ৩৯ শতাংশ জুতা ভিয়েতনামে তৈরি হয়। এ ছাড়া বিখ্যাত ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ড স্যামসাংয়েরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পণ্য ভিয়েতনামে উৎপাদিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক ব্র্যান্ড নাইকি ও অ্যাপলের মতো অনেক ব্র্যান্ড নিজেদের পণ্য বিদেশে উৎপাদন করে। পাল্টা শুল্কের ফলে গত কয়েক দিনে তাদের শেয়ার মূল্য অনেকটা কমেছে। ফলে ব্র্যান্ডগুলো ভবিষ্যতে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দ্বন্দ্ব মেটাতে আগ্রহী চীন : চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্কে খেপে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে তিনি আরও শুল্ক আরোপ করেছেন চীনের পণ্যে। সব মিলিয়ে চীনের পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চীন জানিয়েছে, এই দ্বন্দ্ব সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক। খবর বিবিসি
চীন আজ বাণিজ্য বিষয়ক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছে, চীন সব সময়ই চেষ্টা করেছে, মার্কিন-চীন বাণিজ্য যেন সব সময় উভয়ের জন্য লাভজনক হয়। শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পাল্টা শুল্কের বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে।
ট্রাম্পের শুল্ক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে: চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) । আজ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়, জানিয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর একজন বিশেষ প্রতিবেদক।
প্রবৃদ্ধির এই হিসাব ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের আগে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এডিবি। তবে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ের অর্থনীতিবিদ চন্দন সাপকোটা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক পুরোপুরি আরোপিত হলে প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। এডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি হতে পারে ১০ দশমিক ২ শতাংশ।
ওষুধ খাতে শুল্ক : আজ ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের আওতার বাইরে কিছু খাত রয়ে গেছে, যেমন ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টর। তবে তারাও বেশি দিন আওতার বাইরে থাকতে পারবে না। ভারতের এনডিটিভির সংবাদে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প শিগগিরই ওষুধ খাতে বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করতে পারেন। সেই শুল্কবাণে রীতিমতো ক্ষত বিক্ষত হতে পারে ভারতের ওষুধ শিল্প।
বিষয়টি হলো, ভারতের ওষুধ রপ্তানির মূল বাজার হচ্ছে আমেরিকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যত রপ্তানি করেছে, তার ৩১ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে; অর্থের পরিমাণের দিক থেকে যা ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৮৭০ কোটি ডলার। গতকাল মঙ্গলবার ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল কমিটির সভায় ট্রাম্প বলেন, এমনভাবে ওষুধ শিল্পে শুল্ক আরোপ করা হবে যে কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে।
শুল্ক কার্যকর হয়ে গেছে
আজ ৯ এপ্রিল। কার্যকর হয়ে গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক। বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর এই শুল্ক কার্যকর হয়েছে। গতকাল চীনের শুল্কহার বৃদ্ধি করেছেন ট্রাম্প। ফলে চীনের শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ শতাংশ। এটাসহ সব শুল্ক ইতমিধ্যে কার্যকর হয়ে গেছে। খবর বিবিসি।
গত ২ এপ্রিল ন্যূনতম ১০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প। মোট ৬০ টি দেশকে তিনি বড় অপরাধী হিসেবে চিন্হিত করেছেন-এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে কী হারে শুল্ক আরোপ করছে তা নিরূপণ করে তাদের ওপর অর্ধেক হারে শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর অর্থনৈতিক লক্ষ্যের জন্য এই শুল্ক গুরুত্বপূর্ণ। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে পূর্ণোদ্যমে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল।
এশিয়ার শেয়ার বাজারে পতন: জাপানের নিক্কি এশিয়া সূচকের পতন হয়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ, যদিও বুধবার এই সূচকের ৬ শতাংশ উত্থান হয়। তাইওয়ানের মূল সূচক টিডব্লিউআইআইয়ের পতন হয়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। খবর রয়টার্সের।
এশিয়ার বাজারে আজ সকালে যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচার্স সূচকের পতন হয়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। নাসডাক ফিউচার্সের পতন হয়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া ইউরোপের ইউরোস্টক্স ৫০ ফিউচার্সের পতন হয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং এফটিএসই ফিউচারের পতন হয়েছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
অন্যদিকে চীনের ব্লু চিপস সূচকের পতন হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ আর হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচকের পতন হয়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।
মঙ্গলবার এশিয়ার বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। সেই ধারায় মার্কিন বাজারও শুরুতে ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু এরপর ট্রাম্প চীনের পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ৪ দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট পড়ে যায়। এটি ৫০ বছরের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ উল্টে যাওয়ার ঘটনা। দিনটি শুরু হয়েছিল সূচকের ২ শতাংশ উত্থান দিয়ে। কিন্তু শেষমেশ দিন শেষ হয় ১ শতাংশের বেশি পতনের মধ্য দিয়ে।
তেলের দাম চার বছরে সর্বনিম্ন : ট্রাম্পের ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘটনায় চীনের অর্থনীতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ চীন। ফলে আজ বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৪ শতাংশের বেশি কমেছে—ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের দাম ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৬০ দশমিক ৩৬ ডলারে নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়ে প্রতি ব্যারেল ৫৬ দশমিক ৯৬ ডলারে নেমে এসেছে। খবর অয়েল প্রাইস ডট অর্গের।
বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদার পুরোটাই মেটানো হয় আমদানি থেকে। ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে ভোক্তার ব্যয় বেড়ে যায়। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের মধ্যে বেশি চাহিদা ডিজেলের। কৃষি, শিল্প উৎপাদন ও পরিবহন খাতে এ তেল ব্যবহৃত হয়। তাই এটির দাম বাড়লে পণ্যের দামও বেড়ে যায়, বাড়ে জীবনযাত্রার ব্যয়। এখন বিশ্ববাজারে অব্যাহতভাবে তেলের দাম কমতে থাকায় এখন বেশি পরিমাণে তেল কেনা গেলে সরকারের মুনাফা হবে; মানুষও উপকৃত হবে। অর্থাৎ দেশের বাজারে তেলের দাম কমানো সম্ভব হবে।
বেড়েছে বন্ডের সুদহার : আজ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দীর্ঘমেয়াদি বন্ডের সুদহার কিছুটা বেড়েছে। মূলত বিনিয়োগকারীরা অন্যান্য খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি বন্ড বিক্রি করে দিচ্ছেন। সে কারণে বন্ডের সুদহার এভাবে বাড়ছে। সেই সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি বন্ডের সুদহারও বেড়েছে। শিগগিরই ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার কমাবে—এই আশাবাদ থেকে বাজারে স্বল্পমেয়াদি বন্ডের সুদহার বেড়েছে। খবর রয়টার্সের।
১০ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার আরও ৫ ভিত্তি পয়েন্ট বেড়ে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ফলে গত তিন দিনে এই বন্ডের সুদহার ৩৪ ভিত্তি পয়েন্ট বেড়েছে। দুই বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার ছয় ভিত্তি পয়েন্ট বেড়ে ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
ডলারের দর পড়েছে : আজ এশিয়ার মুদ্রাবাজারে ইয়েন ও সুইস ফ্রাঁর মতো নিরাপদ মুদ্রাগুলোর দর ডলারের বিপরীতে বেড়েছে। ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দরপতন হয়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ এবং সুইস ফ্রাঁর বিপরীতে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। খবর রয়টার্সের।
ওদিকে রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউজিল্যান্ড নীতি সুদহার ২৫ ভিত্তি পয়েন্ট হ্রাস করায় কিউই মুদ্রার দর ডলারের বিপরীতে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। যদিও বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার দেশটির বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মার্কিন ডলার অবশ্য ভারতীয় মুদ্রার বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে। বুধবার ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দর উঠেছে ৮৬ দশমিক ৫৬ রুপি। সোমবার যা ছিল ৮৫ দশমিক ৮৪ টাকা। ২০ মার্চের পর এই প্রথম ভারতীয় মুদ্রার দর ৮৬ রুপির ওপরে উঠল। গত দুই অধিবেশনে ভারতীয় মুদ্রার দর ডলারের তুলনায় ১.৩২ শতাংশীয় পয়েন্ট পড়েছে। চীনের মুদ্রা দুর্বল হওয়ার কারণেও ভারতীয় মুদ্রার ওপর প্রভাব পড়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
বেড়েছে সোনার দাম : বিশ্ববাজারে আজ সকালে সোনার দাম বেড়েছে। এই ঘোর অনিশ্চয়তার সময় সোনার দাম বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক, যদিও ২ এপ্রিলের পর সোনার দামও পড়ে গিয়েছিল। আজ আউন্সপ্রতি সোনার দাম আবার ৩ হাজার ডলার পেরিয়ে গেছে। আউন্সপ্রতি দাম বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৬৯ ডলার বা ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। খবর গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের।
আরো পড়ুন : বিয়ের প্রলোভনে বালাসীঘাটে নৌকায় ধর্ষণ।। ধর্ষক গ্রেফতার