রাজনীতিতে নামতে চাওয়ার পরদিন গান্ধী পরিবারের জামাইকে ডেকে পাঠাল তদন্ত সংস্থা

আন্তর্জাতিক জনপ্রতিনিধি দুর্নীতি প্রচ্ছদ প্রবাস মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

কলকাতা প্রতিনিধি: কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রার স্বামী তথা ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরা রাজনীতিতে নামার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যদি কংগ্রেস চায়, তাহলে তিনি রাজনীতির ময়দানে নামতে প্রস্তুত। তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইলে তিনি তার পরিবারের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেবেন। গান্ধী পরিবারের জামাইয়ের এই বক্তব্যের পর দিনই তদন্তকারী সংস্থা তাকে ডেকে পাঠিয়েছে।

মঙ্গলবার দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর অফিসে হাজিরাও দিয়েছেন। জমি কেনাবেচার ঘটনায় অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবার্ট বঢরাকে ডেকে পাঠানো হয়।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গেছে, হরিয়ানা গুরুগ্রামের শিকোহপুর গ্রামে একটি জমি কেনাবেচা নিয়ে রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শিকোহপুর গ্রামে ওঙ্কারেশ্বর প্রপার্টিজ নামে এক সংস্থার কাছ থেকে ৩.৫ একরের একটি জমি ৭.৫ কোটি টাকার বিনিময়ে কিনেছিল রবার্ট বঢরার সংস্থা- স্কাইলাইট হসপিট্যালিটি প্রাইভেট লিমটেড। অভিযোগ হল, সেই জমির মিউটেশন করানো হয়েছিল-মাত্র ২৫ ঘণ্টার মধ্যে।

২০১৮ সালে হরিয়ানা পুলিশ এই ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের করেছিল, তার ভিত্তিতেই এই তলব বলে জানা গেছে। ইডি তার তদন্তও শুরু করেছে সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই।

এদিন ইডি অফিসে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বঢরা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তিনি আশা করছেন যে, আজই বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কারণ এই মামলার কোনও সারবত্তা নেই’।

এই ইডি তলবের জন্য সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করেছেন রবার্ট। তার মতে, এটি একেবারেই একটি ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত’। যার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। যাতে তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দিতে না পারেন, তার জন্যই এই চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রবার্ট।

রবার্ট আরও বলেন, আমি যখনই আমাদের দেশের স্বার্থে কোনও কথা বলি, আমাকে আটকে দেয়া হয়। রাহুলকে (গান্ধী) সংসদে বলতে দেয়া হয় না। চুপ করিয়ে দেয়া হয়। বিজেপিই এসব করছে। এটি একেবারেই রাজনৈতিক চক্রান্ত। মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। তারা চান, আমি রাজনীতিতে আসি।

এরপরই রবার্ট বলেন, আমি যখনই বললাম যে আমি রাজনীতিতে যোগ দিতে চাই, সঙ্গে সঙ্গে ওরা পুরনো মামলা ফের খুঁচিয়ে তুলল। যাতে আমাকে আটকানো যায় এবং মূল ইস্যুগুলো থেকে নজর ঘোরানো যায়। এই মামলার কোনও ভিত্তি নেই। গত ২০ বছরে আমাকে ১৫ বারেরও বেশি সমন পাঠানো হয়েছে এবং প্রত্যেকবারই ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন : লিটারে ১৪ টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *