রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুরের কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৭ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তুলেছেন পাঁচ কাউন্সিলর। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কাউন্সিলররা। এসময় মেয়রের বিরুদ্ধে টাকা লোপাটের মাধ্যমে অট্টালিকা গড়ে তোলাসহ আরও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন কাউন্সিলররা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল আক্তার, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসলাম হোসেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছাবের আলী ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ।
তাদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, কেশরহাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র শহিদুজ্জামান বিগত বছরে প্রায় ৭ কোটি টাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাত করেছেন। এডিপির অর্থায়নে কেশরহাট পৌরসভায় প্রতি অর্থবছরে ৭৮-৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। সেই অর্থ দিয়ে পৌরসভার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে টেন্ডারের মাধ্যমে ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও মেয়র বিভিন্ন নামমাত্র কোটেশন দেখিয়ে ইচ্ছেমতো বিল ভাউচার বানিয়ে পুরো অর্থ আত্মসাত করেন; যা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থি। এ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, উপপরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র শহিদুজ্জামান দুর্নীতির অভিযোগ অসত্য ও বানোয়াট বলে দাবি করেন। তিনি উলটো দাবি করেন, কতিপয় নেতার উচ্চাভিলাষ বাস্তবায়ন না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথিত দুর্নীতির বানোয়াট অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
আরো পড়ুন : গলায় অভিযোগের প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে এমপির বিচার চেয়ে রাস্তায় আওয়ামী লীগ নেতা