অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মৃত্যুর গুজবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত তাঁর পরিবারের সদস্যরা

তথ্য-প্রযুক্তি পুরুষ প্রচ্ছদ বিনোদন হ্যালোআড্ডা

বিনোদন প্রতিবেদক : মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই প্রবীণ অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত প্রবীর মিত্র এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে কোনো গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেন তাঁরা।

প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইসলাম মঙ্গলবার রাতে জানান, তাঁর শ্বশুর ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। কথা বলছেন, সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। তবে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার কারণে তিনি কিছুটা দুর্বল। তাই একান্ত জরুরি কোনো প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হন না।

প্রবীর মিত্রের তিন ছেলে ও এক মেয়ে-মিঠুন মিত্র, ফেরদৌস পারভীন, সিফাত ইসলাম ও সামিউল ইসলাম। এর মধ্যে সামিউল মারা গেছেন। প্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজন্তা মিত্র প্রয়াত হয়েছেন ২০০০ সালে।

এর আগেও প্রবীর মিত্রকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের গুজব রটেছিল। যা নিয়ে ভীষণ বিরক্ত অভিনেতার পরিবার। এ অভিনেতার ছেলে মিঠুন মিত্র জানান, ফেসবুকে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্য নিয়ে বিব্রত হতে হয় তাঁদের। ১৯৪৩ সালের আজকের দিনে কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। আজ ৮১ পেরিয়ে ৮২ বছরে পা রাখলেন এই প্রবীণ অভিনেতা। তাঁর পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

আরো পড়ুন : শাহজাদপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র কমিটি গঠন।

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *