বিশেষ প্রতিবেদক: সাংসদ হাজি সেলিম আইন মেনেই বিদেশে গিয়েছিলেন এবং ফিরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান । আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংসদ হাজি সেলিম থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তিনি গত শনিবার বিকেলে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যান। হাজি সেলিমের এই হঠাৎ দেশত্যাগ নিয়ে সমালোচনা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েও দেশত্যাগের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আজ দুপুরে হাজি সেলিম দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ইমার্জেন্সি চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলেন। তিনি আবার ফেরত চলে এসেছেন।’
হাজি সেলিমের বিদেশযাত্রা নিয়ে সৃষ্ট সমালোচনার বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আইনগত যেটুকু প্রশ্ন আসে, হাইকোর্ট থেকে এ নির্দেশ দিয়েছিল, তিনি সেসব সামলে রেখেই গিয়েছেন। তিনি একজন মাননীয় সংসদ সদস্য। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনকে মাথায় রেখেই তিনি গিয়েছেন।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নের জবাব এভাবেই দিচ্ছি, উনি (হাজি সেলিম) আইন মেনেই গিয়েছিলেন এবং আইন মেনেই ফেরত চলে এসেছেন।’
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজি সেলিমের ১০ বছর সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজি সেলিমকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সময়সীমার মধ্যেই আওয়ামী লীগের এই সাংসদ দেশ ছেড়েছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েও হাজি সেলিমের দেশত্যাগের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মনে করি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় হাজি সেলিমের সংসদ সদস্য পদ আর নেই। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে যেতে পারেন না। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার কারণেই বিদেশে যেতে পারেননি। হাজি সেলিমেরও বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাঁর তো আত্মসমর্পণ করার কথা।’