আইপিএল-এ না খেলা আর বোলিং না করার বিষয়ে জানালে সাকিব

আন্তর্জাতিক খেলাধুলা পুরুষ পুরুষ অধিকার প্রচ্ছদ বিনোদন মুক্তমত হ্যালোআড্ডা

স্পোর্টস রিপোর্টার : আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংসে বল করেছেন মাত্র ১৬ ওভার! দেশের তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার কেন বল করছেন না? প্রশ্নটা শুধু সংবাদ মাধ্যমেরই নয়, ক্রিকেটভক্তদের মাঝেও। এ নিয়ে হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা। দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স ও বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডও সংবাদ মাধ্যমে অধিনায়কের এমন অদ্ভুত কান্ডের কারণ বলতে পারেননি। ধারণা করা হচ্ছিল আইপিএলে খেলতে না যেতে পেরে মন খারাপ তার। আর সেই কারণেই বল করছেন না। তবে গতকাল দু’টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সাকিব নিজেই। জানিয়েছেন কেন তিনি আইপিএল-এ খেলছেন না আর কেন বল করেননি। বোলিং নিয়ে অবশ্য উল্টো প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে ২৭ রানে আয়ারল্যান্ড চার উইকেট হারিয়ে ফেলে। তাতে বড় কৃতিত্ব ছিল সাকিবের।

কিন্তু তৃতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশরা। সারাদিনে ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৫৯ রান। এমন সময় কি বোলিংয়ে আসা যেত বলে মনে হয়েছিল? প্রশ্ন শুনে সাকিব বলেন, ‘এটার মানে কি আমি ছাড়া বাংলাদেশ দলের বোলিং চলে না?’

তবে সাকিবের বল হাতে না নেয়া প্রশ্ন থেকেই যায়। দলের সেরা বোলার যখন নিজেকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেয় তাতে প্রশ্ন উঠবেই। যদিও সাকিব এ নিয়ে একেবারেই নির্লিপ্ত। তিনি বলেন, ‘নাহ। ওরকম তো কোনো ব্যাখ্যা নেই। বোলিং কাউকে করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার কাছে পাঁচ-ছয় রকমের অস্ত্র থাকলে সব অস্ত্র ব্যবহার করার দরকার নেই তো সবসময়।’ সেই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন নিজের বোলারদের ওপর তার যথেষ্ট আস্থা আছে। তিনি ছাড়াও প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেয়ার ক্ষমতা তার বোলাররা রাখে সেই বিশ্বাস টাইগার টেস্ট অধিনায়কের। সাকিব বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট বোলার আছে ২০ উইকেট নেওয়ার মতো, আমার তাদের প্রতি বিশ্বাস আছে। সেটা ওরা করে দেখিয়েছে। বিশেষত এমন একটা জায়গাতে খেলা হয়েছে এ ধরনের পিচে আমরা খুব বেশি খেলি না। প্রথম তিনদিন খুবই ভালো উইকেট ছিল আমি বলবো, মিরপুরে সাধারণত তিনদিন এত ভালো উইকেট থাকে না। এমনকি আজকেও ভালো উইকেট ছিল।’

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে সাকিবসহ ৬ বোলার নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বহুদিন পর ঘরের মাঠে খেলানো হয় তিন পেসার। সাফল্য পেতে হলে এটিকেই আগামীর পথ বলছেন সাকিব। ছয় বোলার খেলানো প্রসঙ্গে তিনি টেনেছেন বড় দেশগুলোর উদাহরণও। তিনি বলেন, ‘আপনার যদি বিশ উইকেট নিতে হয়, বোলিং অপশনটা বেশি নিতে হবে। এটার বিকল্প আসলে নেই। কম বোলিং অপশন তখনই থাকে যখন আপনি রক্ষণাত্মক মানসিকতায় থাকেন। ড্র করার চিন্তা বা কোনো রকম ব্যাটিংটা ভালো করার চিন্তা থাকে। যখন আপনি জিততে চাইবেন পাঁচ বোলার, ছয় বোলারের অপশন নিয়ে খেলবেন। বড় দলগুলো এরকম অবস্থাতেই আছে। বিশেষত আপনি যদি ইংল্যান্ড-ভারতে দেখেন, তাদের পাঁচ-ছয়জন মূল বোলার; ছয়জন ব্যাটার নিয়ে তারা খেলে।’ ছয় বোলার থাকলে সাকিবের ওপর চাপ কমে যায়। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখুন, মিরাজও এখন এরকম ক্যাপেবল ব্যাটার সাত নম্বরে ব্যাট করতে পারে। ও যদি সাত নম্বরে ব্যাট করে আমাদের বোলিং অপশন আরও বেশি হবে। যেটা আমাদের দলের জন্যই ভালো। সবাই যথেষ্ট বিশ্রাম পাবে, চাপ পড়বে না। এখন তাইজুল অনেক বেশি বোলিং করছে। আলহামদুলিল্লাহ ও ভালো করছে।’

আইপিএলে না খেলার কারণ জানালেন সাকিব

সাকিব আল হাসানকে এবারের আইপিএলের নিলাম থেকে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের পর তাকে এনওসিও দিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। যদিও গুঞ্জন ছিল কলকাতাই তাকে চাইছে না তবে পরে জানা গেছে সাকিবই তাদের জানিয়েছে এই মৌসুমে আইপিএল না খেলার বিষয়টি। তার না খেলার প্রকৃত কারণ কি এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ ছিল না। তবে গতকাল তিনি নিজেই জানিয়ে দিলেন তার এবার আইপিএল না খেলার কারণ। মন খারাপ কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নাহ। অবশ্যই ভালো একটা সুযোগ ছিল। বিশ্বকাপের বছর যেহেতু। কিন্তু ফ্যামিলি ইমার্জেন্সি তো ফ্যামিলি ইমার্জেন্সি। তবে এটা একটা সুযোগ ছিল। ভারতে বিশ্বকাপ তার আগে আইপিএলে খেলতে পারলে ভালো হতো।’

আরো পড়ুন : ইফতাররত অবস্থায় খেলাফত মজলিসের আমিরের মৃত্যু

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *