নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সম্প্রতি তাঁর দলকে জনসভা করতে বাধা না দেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নতুন নাটক। বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে। আওয়ামী লীগের এই শান্তি সমাবেশের নাম শুনলেই মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি বাহিনীর গড়া ‘শান্তি কমিটির’ কথা মনে পড়ে।
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক দল আরেক দলকে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, যারা ক্ষমতায় যায়, তারা পরেরবার ক্ষমতায় থাকতে নানাভাবে চেষ্টা চালায়। দেশের রাজনৈতিক সংকট দূর করতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রচলন করা হয়েছিল। বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না তাঁর দল। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে, জনগণ নিজের ভোট যেন নিজে দিতে পারে, সে জন্যই এই দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে নিজের হাতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে। মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগের চরিত্রে মধ্যে জমিদারি ভাব রয়েছে। জমিদারি ভাব নিয়েই তারা দেশ শাসন করতে চায়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, “আমার অন্তরে নাকি বিষ!” আওয়ামী লীগ ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। আমার কথায় তাদের গায়ে আগুন লেগে যায়। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, প্রকৃত পক্ষে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।’
আওয়ামী লীগ ‘নির্বাচন নির্বাচন’ খেলা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এবার আওয়ামী লীগের ফাঁদে দেশের জনগণ পা দেবে না। ‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান’—এবার আর সেটা হবে না।
আওয়ামী লীগ ভয়ভীতি-ত্রাস ছড়িয়ে দেশের মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, দেশে এত টিভি চ্যানেল, কয়টি গণতন্ত্রের কথা বলে, ভিন্নমত তুলে ধরে? সুশীল সমাজের কেউ টক শোতে কথা বলেন না, পত্রিকায় লেখেন না। দেশের মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান। বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।