দীর্ঘ বিরতির পর আগামী ২৪ নভেম্বর যশোরে জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই জনসভা বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট-১ আসনের এমপি শেখ হেলাল উদ্দীন। যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হেলাল বলেন, ‘আমরা পালাব না, ওরা (বিএনপি) পালাবে। ওদের সঙ্গে ২৪ নভেম্বরের পর দেখা হবে। সোজা কথা—ওরা থাকবে, না হয় আমরা থাকব। বাড়াবাড়ি করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। আমরা কোনো জনসভার জবাব দিতে চাই না। এ দেশ আমাদের, এ দেশ শেখ হাসিনার। যারা এ দেশকে রক্তাক্ত করতে চায়, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়, তাদের কোনো ঠাঁই স্বাধীন বাংলার মাটিতে হবে না।’
সভা শেষে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোরের জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর তার জনসমাবেশকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যশোর স্টেডিয়ামের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে ৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটানো হবে। আগতদের স্থান সংকুলানের জন্য স্টেডিয়ামের উত্তর অংশের সীমানা ভেঙে পার্শ্ববর্তী কলেজ মাঠের সঙ্গে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, সমাবেশে ৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বর্ধিত সভায়। একই সঙ্গে জনসমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের স্থান সংকুলানের জন্য যশোর স্টেডিয়ামকে ভেঙে মাঠ বড় করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার এমপি এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন।
আরো পড়ুন : রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ মিলল শীতলক্ষ্যায়