খাদ্য সংকট ক্রমশ তীব্র হচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। পার্লামেন্টের স্পিকার জানিয়েছেন, আরও ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে অদূর ভবিষ্যতে। খাবার নেই, ওষুধ নেই, জ্বালানি নেই। যত দিন যাচ্ছে, আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বুধবার (৬ এপ্রিল) দিনভর কলম্বোর ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখিয়েছে রাজপথে।
জার্মানি সংবাদমাধ্যম ডয়েচভেলে এক প্রতিবেদনে জানায়, গত কয়েকদিন ধরেই কলম্বোর একাধিক মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে মূলত ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) আন্দোলন আরও তীব্র হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গেটে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তারা ঢুকে পড়ে ভিতরে। ওষুধ এবং খাবারের দাবিতে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
প্রতিটি পেট্রোল পাম্প এবং গ্যাস স্টেশনের বাইরে লম্বা লাইন। ৩৬ ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়েও সামান্য তেল পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ভারতের কাছ থেকে আরও তেল নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তারা। বিরোধীদের চাপে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছে শ্রীলঙ্কার প্রশাসন। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ভারতে এসে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন তারা। বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করে দুর্গম সমুদ্রে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজাপাকসে সরকারের ভুল নীতির কারণে এই অবস্থায় এসে পৌঁছেছে শ্রীলঙ্কা। সাহায্য না পেলে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। ভারত ইতিমধ্যেই এক জাহাজ তেল পাঠিয়েছে শ্রীলঙ্কায়। এক বিলিয়ন ডলারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে।
আরো পড়ুন : মৃত্যুহীন দিনে করোনায় শনাক্ত ৪৪ জন