জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীর ভাষণে আগামী জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সংঘাত ভুলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে এসে গণতন্ত্রকে বিকশিত হতে সবাইকে সহায়তা করা উচিত। গণতন্ত্রহীন অবস্থায় যে উন্নয়ন হয়, তা কখনো সর্বজনীন হতে পারে না।
গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তোলে, এমন যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনায় রাষ্ট্রপতির এ ভাষণ। তার ভাষণকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছে আওয়ামী লীগ।
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদকে গণতন্ত্র চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসাবে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। সেই মোতাবেক সবাই মিলেই এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
তবে বিএনপি বলছে, সাংবিধানিকভাবেই তার হাতে খুব বেশি ক্ষমতা নেই। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতে, সংঘাত দিয়ে, প্রতিহিংসা দিয়ে কখনো গণতন্ত্র প্র্যাকটিস করা যায় না-রাষ্ট্রপতির এ কথা ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে। তবে অতীত সুখকর নয়।
সংঘাত এড়াতে হলে সরকারকে আগে পদত্যাগ করে আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. শাহদীন মালিকের আশঙ্কা- রাষ্ট্রপতির এ আহ্বানের বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে না।
রাষ্ট্রপতির ভাষণকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছি: ড. আব্দুর রাজ্জাক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘বিশেষ অধিবেশনে’ মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দিয়েছেন তা খুবই ইতিবাচক হিসাবে দেখছি। তিনি (রাষ্ট্রপতি) জাতীয় সংসদকে গণতন্ত্র চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসাবে উল্লেখ করেছেন। জাতীয় সংসদকে অবশ্যই আমাদের সক্রিয় রাখতেই হবে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। আমাদের এটা অবশ্যই করতে হবে। সবাই মিলেই এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। শনিবার যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদের ‘বিশেষ অধিবেশনে’ শুক্রবার ভাষণ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ভাষণে তিনি গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তোলে এমন যে কোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন, অর্থনীতি রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেছেন এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের বিষয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কথা বলেছেন। বর্তমানে জাতীয় সংসদে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সপক্ষের সরকার রয়েছে। আমাদের মহান মুত্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ সামনে রেখে পথ চলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক মতপার্থক্য এবং নীতি-আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু সংসদকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে কোনো ভিন্নতা থাকতে পারে না।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. রাজ্জাক বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আমাদের জাতীয় সংসদকে সব সময় অ্যাকটিভ (সক্রিয়) রাখতেই হবে। আইন প্রণয়ন বা দেশ পরিচালনায় সংসদকে আরও কার্যকর করতেই হবে। সব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সংসদে দেশ ও জনগণের স্বার্থের কথা বলতে হবে। সবাই মিলেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
হিংসা-বিভেদ ও স্বার্থের সংঘাতে না জড়িয়ে সবাইকে দেশ গড়ার কাজে যুক্ত হতে রাষ্ট্রপতি যে আহ্বান জানিয়েছেন-এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তার এই আহ্বান অবশ্যই ইতিবাচক। এই দেশ আমাদের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা এনেছি। এই দেশকে আমাদের সবাইকে মিলেই এগিয়ে নিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘সংঘাত-সংঘর্ষ এবং যে কোনো উগ্রবাদ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড হতে দূরে থেকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ড. রাজ্জাক বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলছি-আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
সাংবিধানিকভাবেই রাষ্ট্রপতির হাতে ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করি। কিন্তু সাংবিধানিকভাবেই তার হাতে খুব বেশি ক্ষমতা নেই। আমাদের অতীত তো সুখকর নয়। নির্বাচন কমিশন গঠনে আমাদের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলাম রাষ্ট্রপতির কাছে। তাকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও দিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনোটাই তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তার হাতে সেই ক্ষমতা নেই। সুতরাং তিনি সংলাপের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বলে সবাই মনে করছেন। কিন্তু আমরা মনে করছি, সরকারের লিখে দেওয়া যে বক্তব্য, তা তিনি পাঠ করেছেন।’
শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘তার পরও বলব ওখানে রাষ্ট্রপতির একটা কথা আছে যেটা আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে। তিনি (রাষ্ট্রপতি) বলেছেন, গণতন্ত্রহীন উন্নয়ন সর্বজনীন হয় না। এ কথাটা ভালো। আরেকটা কথা তিনি বলেছেন, সংঘাত দিয়ে, প্রতিহিংসা দিয়ে কখনো গণতন্ত্র প্র্যাকটিস করা যায় না। এই কথাগুলো ভালো। কিন্তু যারা প্র্যাকটিস করছেন তারা নিঃসন্দেহে বুঝতে পারছেন, গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস তো সেখানে নেই। বরং কী করে গণতন্ত্রকে ধবংস করা যায় সেটা তারা প্র্যাকটিস করছেন।’
সংঘাত এড়াতে হলে সরকারকে আগে পদত্যাগ করে আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার যদি চায় সংঘাত এড়িয়ে সামনের দিকে যাবেন, তাহলে প্রথম কাজটা করতে হবে বিরোধী দলগুলো যেটা চাচ্ছে সেই দাবি পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ পদত্যাগ করে আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবগুলো পন্থা ব্যবহার করেছি। ২০১৮তে তাদের কথা বিশ্বাস করে নির্বাচনে গিয়েছিলাম। পরিণতি কী হয়েছে সবাই দেখেছেন। এখন তো আমরা অনেক দিন ধরেই বলছি, আপনারা দয়া করে পদত্যাগ করেন। এগি (একমত) করুক যে, আমি পদত্যাগ করব, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয় নিয়ে কথা বলব-তাহলেই হয়ে যায়।’
পদত্যাগ না করলে বিএনপি সংলাপে যাবে কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাদের বিশ্বাস করার প্রশ্নই উঠতে পারে না। আগে পদত্যাগ করতে হবে। ঘোষণা দিতে হবে যে, আমি পদত্যাগ করব। তারপর সংলাপ।’
বর্তমান জাতীয় সংসদকে ‘সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর সংসদ’ বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার পার্লামেন্টে অনেক বক্তৃতা করলেন। এমন বক্তৃতা করলেন যে দিস ইজ দ্য বেস্ট পার্লামেন্ট। ওখানে হিসাব করলে খুঁজে পাবেন না-কয়টা মুলতবি প্রস্তাব ওখানে আছে। কয়টা জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয় নিয়ে দিনের কর্মসূচি মুলতবি করে আলোচনা হয়েছে। যে কথাগুলো জনগণের দাবি হিসাবে উঠে আসে, মাঝেমধ্যে সে বিষয়গুলো নিয়েও ওখানে আলোচনা হয় না।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমাদের মনে হয়, এই সংসদ সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর ছিল। এই সংসদ তো গ্রহণযোগ্যই নয় জনগণের কাছে। এটা নির্বাচিত নয়, অনির্বাচিত সংসদ।’
এর আগে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়কারী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে ছিলেন ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার একাংশের খন্দকার লুৎফর রহমান, এসএম শাহাদাত, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি মন্ডল, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।
আলোচনায় বসার মানসিকতা নেই রাজনীতিকদের: শাহদীন মালিক
সংঘাত ভুলে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে এসে গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে রাষ্ট্রপতির ভাষণ যথার্থ, যৌক্তিক ও সংগত বলে মনে করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক। তবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতিতে যৌক্তিকতা, ন্যায্যতা, নীতি ও আদর্শ অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে। রাজনীতিকদের আলোচনায় বসার মতো মানসিকতা নেই। রাষ্ট্রপতির এ আহ্বান শুধু ভাষণে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, এ আহ্বানের বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে না। শনিবার যুগান্তরকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ড. শাহদীন মালিক এসব কথা বলেন।
এর আগের দিন শুক্রবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ভাষণে সংঘাত ভুলে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে আসতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলে। গণতন্ত্রহীন অবস্থায় যে উন্নয়ন হয়, তা কখনো সর্বজনীন হতে পারে না। সে উন্নয়ন হয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় দলগুলো কী আলোচনা বসার মতো পরিবেশ আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ড. শাহদীন মালিক বলেন, যে কোনো সমস্যা সমাধানে আলোচনা সর্বোত্তমপন্থা। কিন্তু সেই আলোচনায় বসার মতো মানসিকতা রাজনীতিকদের নেই। আমাদের দেশের ক্ষমতা ও খাইখাই রাজনীতি চলছে। তিনি বলেন, আলোচনায় বসতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দিতে হয়। কিন্তু আমাদের বড় দলগুলো মনে করে, ছাড় দেওয়া মানে পরাজিত হওয়া। কেউ কাউকে ছাড় দেবে বলে মনে হয় না।
রাষ্ট্রপতি গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন সর্বজনীন হয় না-এ বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত পোষণ করে ড. শাহদীন মালিক বলেন, শাসকদল কি কখনো গণতন্ত্র পছন্দ করে? গণতন্ত্র হচ্ছে শাসকদলের নেতাদের বিলাসবহুল জীবনের অন্যতম বাধা। তাই শাসকদল কখনো গণতন্ত্রের পুরোপুরি চর্চা পছন্দ আগেও করেনি, এখনো করে না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ শুধু ভাষণ হিসাবে থাকবে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আফসোস করে বলেন, কার্যবিধি অনুযায়ী আগে সংসদে দেওয়া বক্তব্য ছাপা হতো। এখন ছাপা হয় কি না জানি না। ছাপা হলেও পাওয়া যায় না। আমি একটি বক্তব্য খুঁজতে গেলে সংসদ সচিবালয় থেকে বলা হয়েছে, ওই বক্তব্যের মাত্র দুটি কপি আছে। সংসদে গিয়ে দেখে আসার অনুরোধ জানানো হয়। এতেই বোঝা যায়, সংসদে দেওয়া বক্তব্য ছাপা হওয়া কপির সংখ্যা খুবই কম থাকে।
আরো পড়ুন : পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বিসিসি পরিচালিত মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা