রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খেরসন থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পরে তাদের দখল করা একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী।
ইউক্রেনে রাশিয়ার কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বলেছেন, খেরসন শহরে সরবরাহ করা আর সম্ভব নয়।
প্রত্যাহারের অর্থ হল রুশ বাহিনী ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যাবে।
ইউক্রেনের বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের মুখে রাশিয়ার জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য ধাক্কা।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক করতে দেখা যায়। জেনারেল সুরোভিকিন এতে খেরসনের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন দেন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাজানো এ অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যর্থ যুদ্ধের স্থপতি তার জেনারেলদের কাছেই ঘোষণাটি দেওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পুতিনই সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ঘটা করে খেরসন এবং আরও তিনটি আংশিক বা পূর্ণ অধিকৃত অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
জেনারেল সুরোভিকিন বৈঠকে বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বুদ্ধির কাজ হচ্ছে দনিপ্রো নদীর ধার বরাবর প্রতিরক্ষা সংগঠিত করা। ’
রাশিয়ার বাহিনী যুদ্ধের শুরুতে ২০১৪ সালেই সংযুক্ত করে নেওয়া ক্রিমিয়া থেকে দক্ষিণ ইউক্রেন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মার্চের শুরুতে তারা খেরসন শহর দখল করে নেয়।
রুশ সেনাদের দনিপ্রো নদী পেরিয়ে পিছিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা গতকাল বুধবার সতর্কতার সঙ্গেই বিবেচনা করছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, ‘কথার চেয়ে কাজের আওয়াজ বেশি। ’
‘আমরা এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না যে রাশিয়া বিনা লড়াইয়ে খেরসন ছেড়ে যাচ্ছে। (ইউক্রেন) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অঞ্চলগুলোকে মুক্ত করছে, সাজানো টিভি বিবৃতি দিয়ে নয়। ’ সূত্র: বিবিসি
আরো পড়ুন : ‘এখানে মরতে এসেছো কেন, অন্য স্কুলে গিয়ে মরো’- ছাত্রীকে শিক্ষিকা