ঈগল আর ট্রাকের দ্বিমুখী-ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি নৌকা

অনুসন্ধানী ওকে নিউজ স্পেশাল জনপ্রতিনিধি জাতীয় তথ্য-প্রযুক্তি নির্বাচন প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

রাসেল ও বুদ্দিনের নির্বাচনি লড়াই *খাদ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ স্বতন্ত্র প্রার্থী *নৌকায় ছোঁ মারতে পারে ঈগল! *মূল লড়াই নৌকা বনাম ঈগলে *লড়াই ত্রিমুখী হাড্ডাহাড্ডি নৌকা-ট্রাকের *লড়াই ত্রিমুখী কঠিন পরীক্ষায় ডা. এনামুর রহমান

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন আসনে প্রার্থীদের ব্যাপক গণসংযোগ চলছে। সভা, সমাবেশ, মতবিনিময় এবং প্রচারপত্র বিলি করার মধ্য দিয়ে প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় তারা নানা প্রতিশ্র“তি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করেন। তবে দেশের অনেক আসনে ঈগল আর ট্রাকের দ্বিমুখী-ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি নৌকা । কোথাও কোথাও অনেক হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ প্রার্থী হেরে যেতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

আরো পড়ুন : গাজীপুরে স্বস্তিতে নেই নৌকার প্রার্থীরা, আলোচনায় আখতারউজ্জামান

রাসেল ও বুদ্দিনের নির্বাচনি লড়াই

গাজীপুরের পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় গোটা নির্বাচনি এলাকা সরগরম। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীরা তাদের দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা ও কুশলবিনিময় করছেন। এ সময় তারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান। তুলে ধরছেন তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা

গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন। এ আসনে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকে লড়াই হবে বলে ভোটাররা মনে করছেন। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের। তার পক্ষে সরাসরি কাজ করছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

নৌকার প্রার্থী রাসেল বিগত দিনে এলাকায় যেসব উন্নয়ন কর্মকা করেছেন তা ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন। রাসেলের কর্মী-সমর্থকদের দাবি অতীতে গাজীপুরে যে উন্নয়ন হয়েছিল তা দেখে মানুষ অবশ্যই নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বুদ্দিনের সমর্থকরা নতুনকে সুযোগ দেওয়ার দাবি নিয়ে ভোটারদের সামনে নানা যুক্তি তুলে ধরছেন।

চুমকির বিপরীতে শক্ত অবস্থানে আখতারুজ্জামান

গাজীপুর-৫ আসনে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ডাকসু ভিপি মো. আখতারউজ্জামানের পক্ষে। তার প্রধান কারণ হিসেবে দেখা যায় গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে কিছু অল্প বয়সি ছেলে-পেলে নিয়ে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং উপজেলা কমিটিগুলো গঠন করেছেন মেহের আফরোজ চুমকি। যার প্রেক্ষিতে উপজেলার সব জায়গায় দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলেন, আখতারুজ্জান সব দিক থেকেই যোগ্য প্রার্থী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ডাকসু ভিপি মো. আখতারউজ্জামান বলেন, গাজীপুর-৫ আসনে আমার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমি বিজয়ে শতভাগ আশাবাদী। এবার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ এবং ভালো হবে। তবে যারা এলাকায় মাস্তানি করে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। তিনি বলেন, বিগত সময়ে যে উন্নয়ন করেছি সাধারণ মানুষ আমাদেরই বেছে নেবে।

আরো পড়ুন : লাঙল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অর্ধশত নৌকাকে

খাদ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ স্বতন্ত্র প্রার্থী
নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতা। বিএনপি-জামায়াত-সমমনাদের বর্জনের এ ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর শক্ত অবস্থানের কারণে এ আসনে ভোটারদের সম্পৃক্ততা দৃশ্যত বেশি, প্রচারও জমজমাট। সরব নির্বাচনের মাঠ। আনুষ্ঠানিক প্রচার কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই এ আসনের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীদের সংঘাত ঘটছে। এসব ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা ও অভিযোগও করা হয়েছে।

এ আসনে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার জয় লাভ করেছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আকবর আলী। স্বতন্ত্র লড়ছেন নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি খালেকুজ্জামান তোতা ও পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাজেদ আলী। খালেকুজ্জামানের ট্রাক আর মাজেদ আলীর প্রতীক ঈগল। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও চন্দনগর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচবারের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান তোতা দীর্ঘদিন ধরেই খাদ্যমন্ত্রীবিরোধী শিবিরের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পর সাধন চন্দ্র মজুমদার ও খালেকুজ্জামান মাঠে সরব রয়েছেন। দুজনের পক্ষেই ব্যাপক প্রচার চলছে। এবারের নির্বাচনে নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক ভোটারের মধ্যে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাবনিকাশ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করতে পারে।

আরো পড়ুন : ১২৬ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয় হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই ১৭৪ আসনে

নৌকায় ছোঁ মারতে পারে ঈগল!
পটুয়াখালী-৩ আসনে নির্বাচনি লড়াই জমে উঠেছে। চলছে নৌকা বনাম ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে জোর প্রচার। এ আসনটি নৌকার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন দুই উপজেলার অধিকাংশ নেতা। তাই এবার নৌকাকে ছোঁ মারতে পারেন দলের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের লে. জেনারেল (অব.) আবুল হোসেন; এমনই জল্পনা ভোটারদের মধ্যে। তিনি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক। বর্তমান এমপি নৌকা মার্কার প্রার্থী এস এম শাহজাদা। গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ দে বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে কতিপয় ব্যক্তির উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এলাকার যথাযথ উন্নয়ন হয়নি।’ দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, ‘আমরা যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছি, তিনিও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দেয়নি দল। বরং নির্বাচন উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উৎসাহিত করা হয়েছে।’ এসব বিষয়ে নৌকার প্রার্থীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক লে. জে. (অব.) আবুল হোসেন বলেন, ‘গলাচিপা-দশমিনা এ দুই উপজেলার মানুষ পরিবর্তন চায়। তারা গত পাঁচ বছর উন্নয়নবঞ্চিত। আমি দেশের জন্য যেভাবে কাজ করেছি, এখন আমার এলাকার মানুষের জন্যও কাজ করতে মাঠে নেমেছি। সবাই আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’

আরো পড়ুন : স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছেন নৌকার মাঝিরা

মূল লড়াই নৌকা বনাম ঈগলে
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে জামালপুরে প্রার্থীদের লড়াই। জামালপুর-৫ সদর আসনে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আটজন প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াইটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ বনাম স্বতন্ত্র। জামালপুর-৫ সদর আসনে ভোটের লড়াই নজর কাড়ছে সবার। ভোটের মাঠে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াইটা হচ্ছে নৌকার আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে ঈগলের রেজাউল করিম রেজনুর। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার ফলে জামালপুরে প্রায় ৫০ হাজার কোটির টাকার যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে এবং হচ্ছে, তার পেছনে সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদের যে অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে, সে বিষয়টি সদরবাসী মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। জামালপুরে উন্নয়নের পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত সুনাম এবং প্রচার-প্রচারণায় ভিন্নতা আনায় ভোটারদের নজর কেড়েছেন তিনি। জনপ্রিয়তায়ও এগিয়ে রয়েছেন তিনি। স্মার্ট জামালপুর, সমৃদ্ধ জামালপুর গড়ার স্লোগান নিয়ে আবুল কালাম আজাদ ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। দলমত-নির্বিশেষে ভোটাররা তাকেই বেছে নেবেন এমন কথাই বেশি শোনা যাচ্ছে।

অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল করিম রেজনু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কিছু নেতা-কর্মী ছাড়া দলের জেলা, উপজেলাসহ বেশির ভাগ নেতা-কর্মীই তাঁর সঙ্গে নেই।

আরো পড়ুন : জমজমাট নির্বাচনি প্রচারনা, স্বতন্ত্র ঠেকাতে মরিয়া নৌকার প্রার্থীরা

লড়াই ত্রিমুখী হাড্ডাহাড্ডি নৌকা-ট্রাকের
যশোর-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে আওয়ামী লীগের দুই নেতা শেখ আফিল উদ্দিনের নৌকা ও আশরাফুল আলম লিটনের ট্রাক প্রতীকের মধ্যে। ভোটের এই যুদ্ধে লাঙল প্রতীকের মো. আক্তারুজ্জামান এখনো রিঙের বাইরে আছেন বলেই স্থানীয়দের কাছে মনে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ভোটাররা স্পষ্টতই নৌকা ও ট্রাক প্রতীকে বিভক্ত। শেষ সময়ে ভোটারদের কাছে টানতে দুই প্রার্থীই এলাকার মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের কাছে উন্নয়নের তালিকা তুলে ধরছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ আকিজ পরিবারের সন্তান শেখ আফিল উদ্দিন। অন্যদিকে শার্শা উপজেলাকে সন্ত্রাসমুক্ত জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন। ২০০৮ সাল থেকে এ আসনে একটানা নৌকার হাল ধরে রেখেছেন শেখ আফিল উদ্দিন। এবারও চতুর্থবারের মতো নৌকা পেয়েছেন।

বিপরীতে নৌকার হাল ধরতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আশরাফুল আলম লিটন। কিন্তু নৌকা না পেলেও এবার সুযোগ পেয়েছেন একটু অন্যভাবে। স্বতন্ত্র হিসেবে বসেছেন ট্রাকের ড্রাইভিং সিটে। শার্শায় এ দুই নেতার দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো এবং তা সবারই জানা। সুযোগ পেলেই একে অন্যকে দেখে নিতে পিছপা হন না। এসব দ্বন্দ্বের জের ধরে দলের মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আরো পড়ুন : হেভিওয়েট প্রার্থীরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি থাকলেও হাড্ডাহাড্ডি ১২৬ আসনে

লড়াই ত্রিমুখী কঠিন পরীক্ষায় ডা. এনামুর রহমান
সাভারে জমে উঠেছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি টানা দুবার এমপি হলেও এবার তাঁর সামনে বড় বাধা স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ এবং আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধামশোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

শাসকদল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া তৌহিদ মুরাদের প্রতীক ঈগল ও সাইফুল ইসলামের ট্রাক। এ দুই প্রতীক চোখ রাঙাচ্ছে ডা. এনামুর রহমানের নৌকাকে। মূলত এ তিন প্রতীকের প্রার্থীর প্রচারের আমেজে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজধানীসংলগ্ন ঢাকা-১৯ আসনের নির্বাচনি এলাকা।
স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের পাশে পাচ্ছেন এনামুর রহমান। জাতীয় পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে ডা. এনামুর রহমানকে সমর্থন জানিয়েছে। বিপরীতে গত দুই মেয়াদে এনামুর রহমানের কাছের লোকজনের অনেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে ডা. এনামুর রহমানের ভরসা এখন আওয়ামী লীগ ছাড়াও সাধারণ মানুষের ভোট। তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের কারণে মন জয় করে সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রে আনাটাকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।

আরো পড়ুন : ই-কমার্স কেলেঙ্কারিতে হিসাব নেই গ্রাহকের হাজার কোটি টাকার

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *