হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: বগুড়ায় উপনির্বাচনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় হয়েছিল হিরো আলমকে তার ভক্তের দিতে চাওয়া উপহারের গাড়ি নিয়ে। অবশেষে গাড়িটি তিনি পেলেন ঠিকই, কিন্তু সেই গাড়ি নিয়ে এখন দেখা দিয়েছে আরেক বিপদ। কারণ গাড়িটি হাতে পাওয়ার পর হিরো আলম জানতে পারলেন উপহার পাওয়া এই গাড়ির ফিটনেস নেই। প্রায় ১০ বছর আগেই ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ ছাড়াও টয়োটা নোহা ১৯৯৮ মডেলের এই গাড়িটির ট্যাক্সও সর্বশেষ দেওয়া হয়েছিল ২০১৩ সালে। এ বিষয়ে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, গাড়ির ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস সনদ নিয়মিত নবায়ন না করায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার মতো বকেয়া জমা হতে পারে।
বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনের আগের দিন ফেসবুক লাইভে এসে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন হবিগঞ্জের শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান। তিনি চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের বাসিন্দা। এম মুখলিছুর রহমান স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত। তিনি নিজেও হিরো আলমের একজন ভক্ত। ফেসবুক লাইভটির পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। অবশেষে গত মঙ্গলবার দুপুরে ঝাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হিরো আলমকে নিজের নোহা গাড়িটি উপহার হিসেবে তুলে দেন মুখলিছুর রহমান।
সর্বশেষ অবস্থার এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হিরো আলম বলেন, ‘গাড়িটি নেওয়ার আগে ফিটনেস ও ট্যাক্সের বিষয়টি জানতাম না। পরে জানতে পেরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি গাড়িটি মানবসেবার জন্য গ্রহণ করেছি। সেহেতু মানবিক দিক বিবেচনায় দেখি কিছু কম-বেশি করে গাড়িটি মাঠে নামানো যায় কি না।’ শিক্ষক মুখলিছুর রহমান জানান, ২০১৮ সালে তিনি ৫ লাখ টাকা দিয়ে গাড়িটি কিনেছিলেন। এরপর থেকে তিনি গাড়িটি ব্যবহার করে আসছেন। ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই ফিটনেস সনদের মেয়াদ শেষ হয় গাড়িটির। এ গাড়ি নিয়ে চলাচলে তার কখনো কোনো সমস্যা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ বিআরটিএর সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাকে অনেকেই ফোন দিয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে ওই গাড়ির ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস সনদ নবায়ন নেই। সেই হিসেবে প্রায় ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকার মতো বকেয়া হতে পারে।
আরো পড়ুন : জেনে নিন; আপনার শিশুর জীবন বিনাশের কারণ ব্যাটারিচালিত রিকশা