এক বছরে শুধু সিলেটেই অস্ত্রোপচারে জন্ম ১৪ হাজার শিশু

ওকে নিউজ স্পেশাল জাতীয় নারী প্রচ্ছদ শিশু অধিকার শিশু/কিশোর স্বাস্থ্য কথা হ্যালোআড্ডা

সিলেট অফিস: সিলেট জেলায় গত এক বছরে ২২ হাজার ৫৮৬ জন নারী সন্তান প্রসব করেছেন। এর মধ্যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম দিয়েছেন ১৪ হাজার ৮০ জন এবং স্বাভাবিক প্রসব করেছেন ৮ হাজার ৫০৬ জন। এ হিসাব সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়ে যারা সন্তান প্রসব করেছেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত। তিনি জানান, সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে অনেক শিশু স্বাভাবিক ও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নিয়েছেন। আবার বাসা-বাড়িতেও অনেক শিশুর স্বাভাবিক জন্ম হয়েছে। এগুলোর হিসাব অন্তভর্‚ক্ত হয়নি।

জন্মেজয় দত্ত আরও জানান, সিলেটে ১১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচারের সন্তান প্রসবের হার বেশি। ঘরে সন্তান প্রসবের হার কমিয়ে শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নারীরা যেন এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সন্তান প্রসব করতে পারেন, সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ সে লক্ষ্যে কাজ করছে। এমন উদ্যোগের ফলে মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুর হার কমে আসছে। এছাড়া প্রথম সন্তান জন্মের সময় অস্ত্রোপচার হলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের সুযোগ কমে যাবে। আর বেসরকারি হাসপাতালে ব্যবসায়িক মনোবৃত্তির কারণে সেখানে অস্ত্রোপচারের সংখ্যা বেশি।

সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, সরকারি হাসপাতালে প্রায় ৮০ শতাংশ স্বাভাবিক এবং ২০ শতাংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব হয়ে থাকে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ঠিক এর উল্টো চিত্র দেখা যায়।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, এ হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার বেশি। এর মূল কারণ, হাসপাতালে আসা অধিকাংশ নারীকে বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা বেসরকারি ক্লিনিক থেকে রেফার্ড করা হয়। অর্থাৎ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আসেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করতে হয় বেশি। গত বছর সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছেন ৫৩ জন নারী। নবজাতক (১ থেকে ২৮ দিন বয়স) মারা গেছে ১০৫ জন।

কাওছার আহমদ

আরো পড়ুন : সন্তানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাবার চোখে অঝোর ধারা

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *