রাজধানীর কাছে কহর দরিয়া খ্যাত টঙ্গী তুরাগ নদ এখন মরা খাল। দখল-দূষণ ও খননে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় নদটি শুকিয়ে মরে গেছে। ফলে নৌ চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নদীবন্দরও (টার্মিনাল) অকেজো।
সরজমিনে দেখা গেছে, তুরাগ নদ যেন ময়লার ড্রেন। পাশ দিয়ে হাঁটতে হয় নাক চেপে। দুর্গন্ধে অসুস্থ হচ্ছেন অনেকেই। নদের পানি পরিষ্কারের ব্যবস্থা এবং নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে নদের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনতে বিআইডব্লিউটিএ ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তার কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে- তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃপক্ষের তুরাগ নদের ব্যাপারে দায়িত্ব কী তাও স্পষ্ট নয় বলে অনেকে মনে করছেন।
টঙ্গী আইচি খেয়া ঘাটের মাঝি মোহাম্মদ হারুন বলেন, ভাই নদীর পানিতে ময়লা-আবর্জনা থাকায় নৌকায় বসা যায় না। একে তো দুর্গন্ধ। তার ওপর মশার কামড়। টঙ্গী বাজার এলাকা ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, তুরাগ নদের পানি এখন আর আগের মতো নেই। পানিতে ময়লা-আবর্জনা আর দুর্গন্ধের কারণে নদের পানি কেউ ব্যবহার করছেন না। নৌপথে ব্যবসায়ীরা টঙ্গী বাজার আসছেন না। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
টঙ্গী নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শাহ আলম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, নদের গভীরতা বাড়াতে ড্রেজিং চলমান রয়েছে। ড্রেজিং শেষ হলে হয়তো নদের পানি কালো থাকবে না। তবে বিভিন্ন কলকারখানার মালিকরা কারখানার বিষাক্ত তরলবর্জ্য নদীতে ফেলে পানি দূষিত করছে। নদের পরিবেশ নষ্ট করছে। নদী বাঁচাতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া পরিবেশ অধিদফতরকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের মাধ্যমে এর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরো পড়ুন : অডিট আপত্তির ৮,৫৫১টি অভিযোগে সরকারের রাজস্ব আটকে আছে ২০,৭২১ কোটি টাকা