গাইবান্ধার সব খবর

আইন-আদালত ক্রাইম নিউজ জাতীয় নারী নারী অন্যান্য নারী নির্যাতন প্রচ্ছদ হ্যালোআড্ডা

গোবিন্দগঞ্জ জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: ’বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ, বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন’ এই পতিপাদ্যে গাইবান্ধার গোাবিন্দগঞ্জে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জের চৌকি আদালত লিগ্যাল এইড বিশেষ কমিটির আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদের হল রুমে চৌকি আদালত লিগ্যাল এইড বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এবং এপিপি মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুল হাসান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফ হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দীন, গোবিন্দগঞ্জ আইনজীবি সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ভবেশ চন্দ্র সরকার, গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন বিনামুল্যে সরকার যে আইনী সেবা দিচ্ছে তা সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সকলের প্রতি আহŸান জানান।
এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বাঁশ ঝাড় থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জের কিশোরীর রহস্য জনক মৃত্যু
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাঁশ ঝাড় থেকে হেলেনা খাতুন (১৫) নামের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে পৌর সভার চাষকপাড়ার হেলাল উদ্দীনের কন্যা। আজ শুক্রবার সকালে পৌর এলাকার বাঘমারা ববনপুর থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।

হেলেনার পরিবারের লোকজন জানান, হেলেনার আদিবাড়ী পাশর্^বর্তী গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের বালুভরা গ্রামে। ছোট বেলা থেকেই আতœীয়তার সুত্রে তাকে লালন-পালন করার জন্য চাষকপাড়ার হেলাল তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং সেখানেই তার কন্যা পরিচয়ে বড় হয়। কিন্ত মানসিক রোগের কারণে সে মাঝে মধ্যেই বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যেত। এরই এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই হেলেনা বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীর কাছে থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি গাছের সাথে ওড়নার সাহায্যে ঝুলন্ত লাশটি সনাক্ত করে।

হেলাল জানান তার কাছ থেকে ১০০ টাকা চেয়েছিল দিতে না পারায় সম্ভবত তার মেয়ে হেলেনা আতœহত্যা করতে পারে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দীন জানান লাশটি উদ্ধার করা হয়ছে। মরহেদ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাইবান্ধার সাঘাটায় অটো চালক হত্যাকান্ডের ৪০ দিন পর গ্রেফতার ৫
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটায় অটো চালক হত্যাকান্ডের ৪০ দিন পর গাইবান্ধা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান।

গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্য্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের জানানো হয় ,যে সাঘাটা উপজেলার বাদিনারপাড়া বাসিন্দা আজগর আলীর ছেলে অটো চালক রুবেল হোসেন ১৯ মার্চ রাত থেকে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরদিন ওই এলাকার একটি ভুট্রাক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় ২০ মার্চ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর থেকে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের একটি টীম হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নেয়। এতে ওই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে গাইবান্ধা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওবায়েদুল ইসলাম,জসিম মিয়া ও রুবেল মিয়াকে ঢাকার জিরাবো এলাকা থেকে গ্রেফতার করে । তাদের দুজনের বাড়ি সাঘাটার বাদিনারপাড়া এলাকায় এবং জসিম মিয়ার বাড়ি বরিশালে। জিঞ্জাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে । গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে জানান,যে ঢাকায় যাওয়ার মতো টাকা না থাকায় তারা অটো ভাড়া নেয় এবং নির্জন স্থানে গিয়ে অটো চালক রুবেল কে শ^াশরোধ করে হত্যা করে ভুট্রা ক্ষেতে ফেলে রাখে এবং তার অটোরিক্সাটি ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে ঢাকায় যায়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড থেকে তথ্য পেয়ে চোরাই অটো কেনার অপরাধে সাঘাটার বারোকোনা বাজার এলাকা থেকে সাজু মিয়া ও রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করে । তারা সবাই এই অটোচালক রুবেল হোসেনকে হত্যা ও তার অটো কেনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে বলে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো: কামাল হোসেন জানান।
আজ শুক্রবার গ্রেফতারকৃত ৫ জনকে গাইবান্ধার আদালতে সোপর্দ্দ করা হবে বলে জানানো হয়।

গোবিন্দগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংর্ঘষে নিহত ১\ আহত ৩
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংর্ঘষে মাহফুজ মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অপর মোটর সাইকেলের ৩ আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত মাহফুজ মিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জোটবান গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র তিনি আরএফএল কোম্পানির কর্মকর্তা হিসেবে গোবিন্দগঞ্জে কর্মরত ছিলেন। আহতদের রংপুর সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বৈরাগীহাট তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মিলন চ্যাটার্জি জানান, গত বুধবার বেলা ২টার দিকে মাহফুজ মিয়া মোটরসাইকেল যোগে গোবিন্দগঞ্জ থেকে কামদিয়ার দিকে আসছিলেন। এ সময় কামদিয়া-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের ঝিরাইপুল নামক স্থানে বিপরীত দকি থেকে আসা দ্রæতগামী অপর একটি মোটর সাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে মাহফুজ সহ অপর মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী কামদিয়ার জহুরুলের পুত্র রনি, আসাদের পুত্র শুক্কু মিয়া ও বানীহালি গ্রামের বেল্লাল মিয়ার পুত্র আব্দুর রাজ্জাক আহত হয়। এরমধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় মাহফুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারী হাসাপাতালে নেয়া হলে রাত ১০টার দিকে হাসাপালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। থানায় এ ব্যপারে একটি মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফারুক হোসেন
গাইবান্ধা।

আরো পড়ুন : তামাক নিয়ন্ত্রণে কোম্পানি মনিটরিং এবং এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫. ৩ বাস্তবায়ন জরুরি

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *