গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার যে কয়েকজন রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের কেন্দ্রিয় বিভিন্ন কমিটির নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তার মধ্যে কামরুল হাসান ফাহিয়ানের নাম অগ্রগণ্য। একজন সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সেবা করে যাচ্ছেন ছাত্রাবস্থা থেকে প্রায় অর্ধ-শতাব্দি। দলের প্রয়োজনে ছুটে চলেছেন দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। ১৯৮৬ সালে ক্রীড়া সম্পাদক ও ১৯৯০ সালে সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হল শাখা, ১৯৯১সালে সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(সুজন-আনছারী কমিটি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০০৩ হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। বর্তমানে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য হিসেবে। রাজনীতির ধ্যানজ্ঞান কামরুল হাসান ফাহিয়ান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বাষিক সম্মেলনে সভাপতির পদপ্রার্থী।
কামরুল হাসান ফাহিয়ান গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পৌরশহরের বুজরুক বোয়ালিয়ার প্রধান পাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেণ। তার পিতা মরহুম আব্দুর রহমান গোবিন্দগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য ইংরেজী শিক্ষক ছিলেন।
কামরুল হাসান ছাত্রাবস্থা থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক। ফাহিয়ান জানান-১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির বিভিন্ন কর্মকান্ডে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে তার আবাসিক হল ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগের সম্মেলনে তিনি ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে মনোনিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সাল থেকে বায়লাদেশ ছাত্রলীগে আওয়ামীলীগের জাতীয় কর্মসূচী ও দেশের বিভিন্ন সংকটময় সময়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের সমন্বয়ে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রিয় পর্যায়ে মিছিল ও সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যের মাধ্যমে নেতাকর্মী ও সর্ব সাধারণকে দলের পক্ষে কাজ করে যাওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদাণ করেন। এরপর ৯০ এর ডাকসু নির্বাচনে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনিত পরিষদে এজিএস প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচন করেন।
বিগত ২০০২ সালের ২৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে বিএনপি-জামায়াত জোটের অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ অংশগ্রহণের সময় পুলিশের লাঠিচার্জের আঘাতে তার ডান হাত ও ডান প্য়ের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৯ এপ্রিল তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান চার বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বিশ্বমানবতার মাতা, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য নেতাকর্মী পঙ্গু হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যদানকালে বিএনপি জামায়াতের নির্দেশে জঙ্গি- সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আহত হন। সেই সমাবেশে ফাহিয়ানও উপস্থিত ছিলেন এবং অল্পের জন্য তিনি বেঁচে যান। ১/১১ জরুরী অবস্থা জারির পর জননেত্রী শেখ হাসিনা কারাবন্দী থাকাকালিন সময়ে কেন্দ্যীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের নির্দেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে সফনসঙ্গী হিসেবে রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলায় জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে ঘরোয়া সমাবেশে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোবিন্দগঞ্জ আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থী প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে থেকে গোবিন্দগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন গ্রামে নির্বাচনী সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন। গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ২০০৯-২০১৪ পর্যন্ত পরিচালনা কমিটির সদস্য ও গোবিন্দগঞ্জ বরকতউল্লাহ বালিকা বিদ্যালয়ের ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করেছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে ও পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাকার জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের হরতাল ও জ্বালাও-পোড়াও কর্মকান্ডকে মোকাবিলা করার জন্য গোবিন্দগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ৫ ই জানুয়ারী দশম এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও গোবিন্দগঞ্জ আসনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থী প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগে উপস্থিত থেকে বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে আমার রাজনীতি শুরু। সে সময় থেকে গণতন্ত্র, জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্টার সংগ্রামে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিটি কর্মসূচীতে রাজপথে লড়াই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। জনগণের ভোটে চারবার নির্বাচিত বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বমানবতার জননী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য নিঃস্বার্থও নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমিও সে পথের দৃঢ প্রত্যয়ের সহযাত্রী।
তাই গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আসন্ন সম্মেলনে আমি সভাপতি পদ প্রার্থী। আমাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে মনোনিত করলে দলের ভিতরে সকল কোন্দল অবসান ঘটিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলেিগর রাজনৈতিক কর্মকান্ড বেগবান ও সুসংগটিত করার লক্ষ্যে সর্বদা সচেষ্ট থ্কাব।
ফারুক হোসেন, গাইবান্ধা।
আরো পড়ুন : রমজানের প্রথমদিনই গ্যাসের তীব্র সঙ্কটে জনজীবন অতিষ্ট