চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে আবারও দুর্ধর্ষ অপহরণকারী চক্রের সন্ধান মিলেছে যারা দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষকে অপহরণ করে নিয়ে টেলিফোনে মুক্তিপণের টাকা চাইত। অপহৃতদের গোপন আস্তানায় শেকল দিয়ে বেঁধে রাখত। মধ্যযুগীয় কায়দায় তাদের দিয়ে ইটের ভাটা ও অন্যান্য স্থানে প্রচণ্ড কায়িক শ্রমের কাজ করাত।
র্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি নগরীর হালিশহর এলাকা থেকে অপহৃত হওয়া এক দরিদ্র রিকশাচালককে খুঁজতে গিয়ে হাটহাজারীর দুর্গম উদালিয়া পাহাড়ি এলাকায় অপহরণকারী চক্রের সেই গোপন আস্তানার সন্ধান পান র্যাব-৭ এর সদস্যরা। সেখানে একটি ঘরের ভেতরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা ঐ রিকশাচালকসহ দুই জনকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অপহরণকারী চক্রের আট সদস্যকে। গত বৃহস্পতিবার এই অভিযান সম্পর্কে নগরীর র্যাব-৭ সদর দপ্তরে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা তাদের অভিযানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
র্যাব-৭ এর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মহানগরীর উত্তর হালিশহর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করেন ঐ রিকশাচালক। গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে রিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন তিনি। এরপর আর বাসায় ফেরেননি তিনি। কোথাও তাকে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা হালিশহর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন ভিকটিমের বাবার মোবাইলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে রিকশাচালককে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। তার দরিদ্র বাবা টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় ছেলের জীবন নিয়ে চিন্তিত হয়ে বিষয়টি র্যাবকে জানান। এরপরই হাটহাজারী থানার বারৈহাটে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব এবং অপহৃত রিকশাচালককে উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রের আট জনকে গ্রেফতার করেন র্যাব সদস্যরা।
আরো পড়ুন : বিএনপির দুর্নীতি আর গণমাধ্যম নিয়ে জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস