চরফ্যাশন দক্ষিণ (ভোলা) প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাস্টারের বিরুদ্ধে অন্যের জমি ও ভিটা দখলের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর মহিউদ্দিন মাস্টার চেয়ারম্যান বাজারে তার আপন ভাই আবদুল খালেক হাওলাদার, ভাগিনা আবু বকর ছিদ্দিক, ভাতিজা জুয়েল হাওলাদার ও আযাদ হাওলাদারের ১০টি ভিটাসহ ঘর ও জমি দখল করে নেয়। তার দখলকৃত ভিটা ও ঘরের মধ্যে ৮টি সে নিজে এবং বাকি দুটি আবু বকর ছিদ্দিকের ভাগিনা মাহাবুব ও জসিমকে দিয়ে দখল করায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
মহিউদ্দিন মাস্টারের ভাগিনা ভুক্তভোগী আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, আমার মামা মহিউদ্দিন মাস্টার তার ছোট ভাই নুরনবী হাওলাদারের কাছ থেকে আমার কেনা চেয়ারম্যান বাজারের ১৩ শতাংশ জমির ওপর ৫টি ভিটা ও হাজারীগঞ্জ ৮নং ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়েছে। এছাড়া ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে চেয়ারম্যান বাজারে আমাকে আটক করে হুমকি প্রদান ও মারধরের চেষ্টা করে মাহাবুব ও জসিমসহ মহিউদ্দিন মাস্টারের লোকজন। পরে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় উদ্ধার হই। তার এই দখলের বিরুদ্ধে আমি স্থানীয় ও উপজেলা বিএনপি নেতাদের দ্বারস্থ হলে তারা তাকে এ ব্যাপারে সতর্ক করলেও সে কারো কথায় কর্ণপাত করছে না।
মহিউদ্দিন মাস্টারের ভাতিজা জুয়েল হাওলাদার বলেন, ৫ আগস্ট বিকালে আমার চাচা আমার একটি দোকানঘর জবরদখল করে। এ সময় আমাকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। দীর্ঘদিন আমি চিকিৎসা নিয়েছি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে মহিউদ্দিন মাস্টারের আপন ভাই নুরনবী হাওলাদার বলেন, আমার ভাগিনা আবু বকর ছিদ্দিকের কাছে আমি জমি বিক্রি করেছি। সে ৩-৪ বছর ধরে দখলে আছে। এখন শুনছি আমার ভাই মহিউদ্দিন মাস্টার ছিদ্দিকের জমি দখলে নিয়েছে।
মুটোফোনে সাংবাদিক পরিচয়ে মহিউদ্দিন মাস্টারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে ফোন কেটে দেন। আবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন : শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টাকালে ভৈরবে নারী অপহরণকারী আটক