স্টাফ রিপোর্টার : পিতার মৃত্যুতেও জামিন পাননি ছাত্রদল নেতা কামরুল হাসান। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের নেতা ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারজুক আহমেদ জানান, গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকায় অবরোধের মিছিলকালে তিনজনকে আটক করে। পরে গুলশান থানার একটি পুরানো মামলায় কামরুল হাসানসহ অপরদেরকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতেই আছেন।
তিনি বলেন, ছেলের গ্রেফতার ও রিমান্ডের খবর শুনে হার্ট অ্যাটাক করেন কামরুল হাসানের বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কবিরুল হক। পরে সিলেটের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
কামরুল হাসানের ছোট ভাই মেহেদী হাসান জানান, সকালে বাবা’র মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তিনি সিলেটে ছুটে যান। তার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা মিলে কামরুল হাসানের জামিনের জন্য আবেদন করলেও আদালত তা না মঞ্জুর করেন। কামরুল হাসান পরিবারের বড় সন্তান। কিন্তু বাবার শেষ মুখ দেখাটাও তার হলো না। কবরে মাটিও দিতে পারলেন না। একদিকে বাবার জন্য কষ্ট, অন্যদিকে ভাইয়ের এ অবস্থায় পুরো পরিবার ভেঙ্গে পড়েছে।
কামরুল হাসানের আইনজীবী নিহার হোসেন ফারুক জানান, “কামরুল হাসানের বাবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সিএমএম আদালতে তার জামিনের জন্য আবেদন করা হলেও তা না মঞ্জুর করেছেন।
আরো পড়ুন : তফসিল ঘোষণার পর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মাশরাফির আবেগঘন পোস্ট