সিলেট অফিস: সিলেটের কানাইঘাটে ছেলের ভয়ে নিজ বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এক অসহায় পিতা। উশৃঙ্খল ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে দুই মাস আগে আইনের আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। কিস্তু এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ছেলে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। যেকোন সময় বড় ধরণের রক্তপাত ঘটাতে পারে। এমন অভিযোগ জানালেন ৪ নং সাতবাঁক ইউনিয়নের লালারচক গ্রামের প্রবাস ফেরত আনিছুল হক মুসব্বির (৬৪)। তিনি জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রায় ৩ বছর আগে স্থায়ীভাবে দেশে আসেন। তিন সন্তানের মধ্যে এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে আর বড় ছেলে কামরুজ্জামানকে গ্রীস পাঠিয়েছেন। বাড়িতে থাকা ছোট ছেলে নুরুজ্জামান তার ওপর বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে অত্যাচার করতো। ছেলের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে গত ৬ জুন সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা করেন। স্মারক নম্বর ২৮৩। বিজ্ঞ আদালত নালিশী দরখাস্থটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে ৩ দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার জন্য কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমদ মামলাটি রেকর্ড করেন।
এজাহারে জানা যায়, গত ২৩ মে রাত অনুমান ১১ টার দিকে নুরুজ্জামান তার বাবা আনিছুল হক মুসব্বিরকে মারধর করে এবং তিন ফর্দ একশ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক বাবার স্বাক্ষর নেয়। এসময় ঘর থেকে নগদ টাকা ও জমি-জমার কাগজাদি নেয়। এসময় বাবার সুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আহত আহত আনিছুল হক মুসব্বিরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠান। পরে আনিছুল হক মুসব্বির সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মাসুম জানান, বাবার সাথে খারাপ আচরনের পর থেকে ছেলে পলাতক রয়েছে। আসামী ধরার জন্য ফোর্স নিয়ে অনেকবার অভিযান চালিয়েছি কিন্তু পাইনি। এ মামলার চার্জশীট দাখিল করেছি।
কাওছার আহমদ
আরো পড়ুন : অশ্লীল ভিডিও ভাইরালের মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করল সরকারি কর্মচারি