সরকারে থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের সুযোগ পাওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ সভায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করার যে সুযোগটা পেয়েছি, এবং এর আগে আমরা স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীও উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছিলাম, এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই আজকে এই সৌভাগ্য হয়েছিল, আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে পেরেছি।
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল- বাংলাদেশে আবার চেতনা ফিরিয়ে আনব। স্বাধীনতার আদর্শে দেশকে গড়ে তুলব। ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা ২০২১ সালেই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আজকে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। সব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য বিনা পয়সায় ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। সেদিন খুব বেশি দূরে না, যেদিন দেশের একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। অন্তত তাদের বেঁচে থাকার একটু সুযোগ আমরা করে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে থাকা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, শিক্ষক, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজের বিশিষ্টজন, সরকারের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।