ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এই যু্দ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে মস্কো। কিন্তু রাশিয়ার পক্ষ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি বারবার উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তবে এবার বিষয়টি আরও খোলাসা করেছে রাশিয়া। নিজেদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লেই কেবল রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান পেসকভ। ইউক্রেনের চলমান রুশ হামলার ২৭তম দিনে এই মন্তব্য করলেন ক্রেমলিন মুখপাত্র।
সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে সিএনএনের সাংবাদিক ক্রিস্টিয়ান আমানপোর জানতে চান, ইউক্রেনে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে পেসকভ নিশ্চিত কি না?
জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা প্রশ্নে আমাদের একটি নীতিমালা আছে, আর তা প্রকাশ্য। কী কী কারণে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে, তা আপনারা পড়ে নিতে পারেন। সুতরাং, এটি যদি আমাদের দেশের জন্য অস্তিত্বের হুমকি তৈরি করে, তবে আমাদের নীতির সঙ্গে সংগতি রেখে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।’
এসময় ক্রেমলিনের এই মুখপাত্র দাবি করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলছে। শুরু থেকেই এ যুদ্ধ কয়েক দিনের মধ্যে শেষ করে দেওয়ার কথা কেউ ভাবেনি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি উল্লেখ করে পেসকভ বলেন, ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার অভিযান ‘গুরুতর লক্ষ্য অর্জনে পরিচালিত গুরুতর একটি অভিযান।’
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর থেকেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সামরিক বাহিনী।
এর কিছুদিনের মাথায় কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিনের দেওয়া নির্দেশের আলোকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী এবং উত্তর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরগুলোকে বর্ধিত যুদ্ধের দায়িত্বে রাখা হয়েছে।