ঝিনাইদহে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিক আবু সেলিম মিয়া নিহত

আইন-আদালত ক্রাইম নিউজ জনদুর্ভোগ জাতীয় তথ্য-প্রযুক্তি পুরুষ প্রচ্ছদ হ্যালোআড্ডা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ও পরিবহন ব্যবসায়ী আবু সেলিম মিয়া (৫৪)কে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশের চোখ এখন অজ্ঞাত এক নারীর দিকে। ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সদস্য সেলিম মিয়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ মেরিনা খাতুন (৩০) ও রিপা রায় (২৫) নামে দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। মেরিনা খাতুন মাগুরার শালিখা উপজেলার সামিয়ারপাড়া গ্রামের মন্টু মণ্ডলের মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা। অন্যদিকে আরেক স্বামী পরিত্যক্তা রিপা কর্মকার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাতলামারী গ্রামের রবি কর্মকারের মেয়ে। এ ঘটনায় আরও এক নারীকে খুঁজছে পুলিশ। রহস্যজনক ওই নারী সেলিমের দুর্ঘটনার খবরটি মেরিনা ও রিপাকে প্রথম ফোন করে জানায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেলিম মিয়া ঝিনাইদহ শহরের হামদহ আলফালাহ হাসপাতালের সামনে এক নারীর সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে মাথায় আঘাত করে দ্রুত গতিতে চলে যায়।

এরপর থেকে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে প্রচার করা হয়। তার স্বজনরাও বিষয়টি নিয়ে ছিলেন অন্ধকারে। তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় মেরিনা ও রিপা। তাদের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে জিজ্ঞাসা করা হয়। প্রথমে তারা নিজেদের ভুল ঠিকানায় পরিচয় দেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, হামদহ এলাকায় সেলিমের ফ্ল্যাটে পাশাপাশি বসবাস করতেন। অজ্ঞাত এক নারীর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অজ্ঞান ও মুমূর্ষু অবস্থায় সেলিমকে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান। নিহতের জামাই ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের উপরে আসলে কেউ তাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে রাস্তার উপর পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক রাত ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী মমতা বেগম জানান, তার স্বামীকে হত্যা করা হতে পারে। ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি ও আশপাশের সিসি ক্যামেরা যাচাই করে হত্যার রহস্য উন্মোচন করা হবে। এ ঘটনায় মেরিনা ও রিপা নামে দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। আরও এক নারীকে আমরা খুঁজছি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

আরো পড়ুন : কর-খাজনা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অসহযোগ ও ভোট বর্জনের ডাক বিএনপির

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *