রাজনৈতিক প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। কোনো টালবাহানা করবেন না। এদেশের মানুষ আর আপনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বলেন, আমেরিকার ভিসা নীতিতেই আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সোমবার বিকালে রাজধানীর ধোলাইখালে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এত চুরি করেছে, এত লুটপাট করেছে- শুধু আওয়ামী লীগের লোকেরা নয়। এই সরকারকে সহযোগিতা দিতে গিয়ে প্রশাসনের কিছু কিছু লোকও এসব করেছেন। এখন বালু খাওয়া শুরু করেছে। চাঁদপুরে ৬ হাজার কোটি টাকার বালু খেয়ে ফেলেছে! এটা আমার কথা নয়, নদী কমিশনারের কথা।
তিনি বলেন, আজকে জাতি চরম ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছে। আর এই সরকার সহজে কথা শুনবে না।
আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এবং তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ সৃষ্টি করে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এই শপথ আজকে আমাদেরকে নিতে হবে। আর এখন একটাই লক্ষ্যে, সোজা কথা না শুনলে ফয়সালা হবে রাজপথে।
সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। এই সরকার শুধু রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে, জোর করে দুই-দুইবার নির্বাচনের নামে প্রহসন ও তামাশা করে ক্ষমতায় বসে আছে। আবার তারা সব আটঘাট বেঁধে ২০২৪ সালে আরেকটা নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে সরকার ভয় পায়। তার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া দরকার। তিনি তো রাজনীতি করার জন্য মুক্তি চাচ্ছেন না। সরকার ভুল করেছে, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা না করালে আপনারা পালানোর পথও খুঁজে পাবেন না। খোদা না করুক, তার কিছু হলে কারও কোনো আদেশের প্রয়োজন হবে না। তাৎক্ষণিক আমরা রাজপথে নেমে পড়বো।
এর আগে দুপুর থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, দলীয় পতাকা সহকারে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ধোলাইখালে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। এদিকে সমাবেশকে ঘিরে ধোলাইখালের সমাবেশস্থল এবং ওই এলাকার মোড়গুলোতে কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ইশরাক হোসেন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: ভিসা নিষেধাজ্ঞায় আই অ্যাম নট আনহ্যাপি