‘ড. ইউনূসের ভালো থাকা নিয়ে উদ্বেগ জানানো ৪০ বিদেশি নাগরিকের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

পুরুষ প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ভালো থাকা নিয়ে উদ্বেগ জানানো ৪০ জন বিদেশি নাগরিকের বক্তব্যকে বাস্তবতাবর্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের ৫০ জন বুদ্ধিজীবী শনিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে এ কথা জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচনের এক বছরের কম সময় বাকি থাকতে হঠাৎ করেই আলোচ্য ৪০ জন বিদেশি নাগরিকের ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ‘মহান’ অবদানকে সমর্থন ও স্বীকৃতি দানের আহ্বানের নেপথ্যে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।

তারা বলেন, এর আগেও লক্ষ করা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সুপরিকল্পিতভাবে এই ব্যক্তিসহ একটি স্বার্থান্বেষী মহল পদ্মা সেতু প্রকল্পে কল্পিত দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিদেশি ঋণ বাতিলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ যাতে ক্ষমতাসীন হতে না পারে। কিন্তু তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই বলেই মনে হচ্ছে।

বিবৃতিদাতারা বলেন, ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বিতরণসহ অন্যান্য ব্যাবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো বাধা আছে বলে মনে হয় না। তিনি যদি ভালো কাজ করে থাকেন তা মূল্যায়ন করবে দেশের মানুষ। কিন্তু তার ‘মহান’ অবদানকে সমর্থন ও স্বীকৃতিদানের জন্য ৪০ জন বিদেশি নাগরিকের আহ্বান জানানো এবং তা ওয়াশিংটন পোস্টের মতো পত্রিকার পৃষ্ঠা জুড়ে বিজ্ঞাপন আকারে প্রচারের বিষয়টি বোধগম্য নয়।

বিদেশি নাগরিকদের এ ধরনের তৎপরতার নেপথ্যে সরকারের ওপর প্রচ্ছন্ন চাপ ও বিশেষ ধরনের রাজনীতি রয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, এ ধরনের অসভ্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য সংবলিত তৎপরতায় বাংলাদেশের জনগণ বিভ্রান্ত হবেন না বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

‘জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন জাতিসংঘে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বুদ্ধিজীবীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে এ ধরনের প্রশংসাবাক্য আরো অনেক রয়েছে। কিন্তু আমাদের ধারণা, অনেকেই ড. ইউনূসের দেশবিরোধী ও জনস্বার্থবিরোধী কার্যক্রমের বিষয়ে পুরোপুরি অবহিত নন বলেই এ ধরনের বিতর্কিত বিজ্ঞাপন ওয়াশিংটন পোস্টের মতো একটি পত্রিকায় প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল খালেক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান, সিনিয়র সাংবাদিক ও সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক অজিত কুমার সরকার, ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।

আরো পড়ুন : আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন 

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *