ঢাকায় যুবলীগের মহাসমাবেশ উপলক্ষে বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের ১০টি লঞ্চের আটটি নিয়ে গেছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। লঞ্চগুলোতে বরিশাল সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীরা বরিশাল ত্যাগ করেছে।
বরিশাল নদীবন্দরে দুটি লঞ্চ রাখা হয়েছে যাত্রীসেবা দেওয়ার জন্য। এতে লঞ্চ সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
অনেকে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার জন্য নদীবন্দরে এলেও লঞ্চে জায়গা না পেয়ে ফেরত গেছে। তবে লঞ্চ দুটিতে যে সকল যাত্রী জায়গা পেয়েছে তারা কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বাথরুমের সামনে, কেউ বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনরুমের পাশে অবস্থান নিয়েছে।
বরিশাল নদীবন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে চারটি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সুরুভী-৭, শুভরাজ-৯, পারাবত-১১ ও কীর্তনখোলা। তবে এর মধ্যে পারাবত ও সুরভী যাত্রী পরিবহন করে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। বাকি দুটিসহ মোট আটটি লঞ্চ যুবলীগের সমাবেশের জন্য নিয়ে গেছে।
সুরভী-৭ লঞ্চের যাত্রী আবুল কালাম বলেন, ‘ঘাটে এসে দেখি দুটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কোনো রকমে এই লঞ্চে জায়গা পেয়েছি। তাও আবার ইঞ্জিনরুমের পাশে। যেহেতু ঢাকা যেতেই হবে তাই জীবনের ঝুঁকি থাকলেও কিছু করার নেই। ’
পারাবত লঞ্চের যাত্রী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৭টার সময় লঞ্চে এসে বাথরুমের সামনে জায়গা পেয়েছি। অন্যান্য সময় দেখেছি লঞ্চে সর্বোচ্চ ১০০ জন যাত্রী হয়। আজ এসে দেখি লঞ্চগুলো সমাবেশের জন্য নেতাকর্মীরা নিয়ে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে দুর্গন্ধ সহ্য করেও বাথরুমের সামনে শুয়ে যাচ্ছি। ’
এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন লঞ্চ মালিকের সাথে কথা বললেও তারা কিছু বলতে রাজি হননি।
আরো পড়ুন : ডিবির দাবি বিএনপির কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়ে চুরি-ছিনতাই করে