♦ কক্সবাজারে কল্যাণ পার্টির নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর ♦ সাঘাটায় লাঙলের নির্বাচনি অফিসে আগুন ♦ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের গাড়ি ভাঙচুর ♦ খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের গণসংযোগে দুর্বৃত্তদের হামলা ♦ নাটোরে নৌকা ও ঈগলের নির্বাচনি ক্যাম্পে আগুন
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ একেবারেই সন্নিকটে। প্রচারণাও শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতা যেন থামছেই না। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মাঠপর্যায়ে উত্তেজনা বাড়ছে। সহিংসতার পাশাপাশি প্রচারণায় বাধা, নির্বাচনি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে ভোটের মাঠ সরগরম। সারা দেশ থেকে নির্বাচনি সহিংসতার খবর পাঠিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা-
কক্সবাজারে কল্যাণ পার্টির নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ : কক্সবাজার-১ আসনে চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের হাতঘড়ি মার্কার নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় নির্বাচনি অফিসের পাহারাদার আহত হন। হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম জানিয়েছেন, গতকাল সকালে বিএমচর ইউনিয়নের পুচ্ছালিয়া পাড়া এলাকায় স্থাপিত হাতঘড়ির নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে এবং পরে আগুন দেয় একদল দুষ্কৃতকারী। এ সময় নির্বাচনি অফিসের পাহারাদার আবু ছালেককে মারধর করে আহত করা হয়। খবর পেয়ে সকালে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি জাফর আলমের লেলিয়ে দেওয়া দুষ্কৃতকারীরা এ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এমপি জাফরের লোকজন তার নির্বাচনি অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দিচ্ছে। তার কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। গত রবিবার রাতে কৈয়ারবিল ইউনিয়নেও তার নির্বাচনি অফিস ও পার্শ্ববর্তী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে বলে কল্যাণ পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বগুড়ায় প্রার্থীর সমর্থকের ওপর হামলা : বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থকের ওপর হামলার ঘটনায় সোনাতলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতার মিনহাদুজ্জামান লিটন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাহাদারা মান্নান এমপির ছোট ভাই। ঢাকায় যাওয়ার পথে ১ জানুয়ারি রাত ১২টায় সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। আদালত ছয়জনের জামিন মঞ্জুর করেন। গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে বগুড়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের ঈগল প্রতীকের প্রচারণা শেষে রেজোয়ানুল হক রিজভী নামের এক সমর্থক নিজ বাড়ি ভেলুরপাড়ায় ফিরছিলেন। ফেরার সময় স্থানীয় চারমাথা মোড়ে পৌঁছলে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাঘাটায় লাঙলের নির্বাচনি অফিসে আগুন : গাইবান্ধার সাঘাটায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার আতার লাঙল প্রতীকের একটি নির্বাচনি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার দিবাগত রাতে ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজারপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আতাউর জানান, সম্প্রতি তার একাধিক নেতা-কর্মীকে মারধর, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করছে প্রতিপক্ষ। অন্য প্রার্থীরা শত শত মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও আমাকে ৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে দিচ্ছে না প্রতিপক্ষ।
নৌকার ভোট করায় একই পরিবারের ৯ ভাইকে হত্যার হুমকি : চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় একই পরিবারের ৯ ভাইকে হত্যার হুমকিসহ অন্যদের এলাকাছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের কর্মী আল আমীন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী লড়ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের গাড়ি ভাঙচুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আক্তার হোসেনের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে বিজয়নগর উপজেলা চান্দুরা ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে। আক্তার হোসেন বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমানের সমর্থক। আক্তার হোসেন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ চালিয়ে রাত পৌনে ৮টায় গাড়িতে উঠলে একদল দুর্বৃত্ত এসে গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা তিনজন আহত হন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন বলেন, ইছাপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমানের সমর্থক আক্তার হোসেনের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে তা সঠিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। তদন্ত চলছে।
খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের গণসংযোগে হামলা : খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বরমাছড়ি ইউনিয়নের মুখপাড়া এলাকায় গতকাল আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরার নৌকা প্রতীকের গণসংযোগের প্রস্তুতিকালে গাড়িবহরে দুর্বৃত্তরা গুলি ও গুলতি ছুড়েছে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন।
নাটোরে নৌকা ও ঈগলের নির্বাচনি ক্যাম্পে আগুন : নাটোরের লালপুরে একই স্থানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনি ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের গৌরীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। লালপুর থানার ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিদর্শন করেছে।
ঝিনাইদহে নৌকার প্রার্থীসহ চারজনের নামে মামলা : ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আবদুল হাইসহ তার চার সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সকালে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাইজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আবদুল হাই এমপির বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় তিনটি মামলা হলো। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পাবনায় প্রার্থীর এজেন্টদের নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা বাতিল চান স্বতন্ত্র প্রার্থী : নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা, হামলা, মামলা পাল্টা-মামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া আংশিক) আসনের নির্বাচনি পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর নির্দেশে গত শুক্রবার প্রচারণায় হামলার অভিযোগ করেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। এ ঘটনায় নৌকার কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। আবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর ও বোমা হামলার অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন নৌকার সমর্থকরা। রবিবার পাবনা প্রেস ক্লাবে নির্বাচনি এজেন্টদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পাবনা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অভিযোগ করে বলেন, আমার ট্রাক মার্কার প্রচার মিছিলে নৌকা সমর্থক চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা করে। হামলায় বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ দুলালসহ আটজন আহত হন। আমাদের মিছিলে হামলার পর নৌকা সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ের লাইট নিভিয়ে নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। এদিকে নৌকার প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে আমাদের যেখানে প্রোগ্রাম সেখানে উসকানি দিতে উপস্থিত হচ্ছেন। তার নির্দেশে আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর ও আমার কর্মীদের মারধর করা হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতার না করা হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, পক্ষপাতের অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, পাবনা-১ আসনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হবে। কাউকে অযথা হয়রানির সুযোগ নেই।
এদিকে নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন করে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফির লাইসেন্স করা পিস্তল জব্দ করেছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার আসামিদের গ্রেফতার দাবিতে গত শনিবার বিকালে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বেড়া পৌর মেয়র ও নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকুর ছেলে আসিফ শামস রঞ্জনসহ বিভিন্ন নেতা বিক্ষোভ মিছিল করেন। সে মিছিলে শফিকুল ইসলাম শফি কোমরে পিস্তল নিয়ে অংশ নেন, যা সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। পরে গতকাল সাঁথিয়া থানা পুলিশ শফির কাছ থেকে অস্ত্রটি জব্দ করে এবং সাধারণ ডায়েরি করে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৬ মোটরসাইকেল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ : বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে ফাইয়াজুল হক রাজুর মোটরসাইকেল বহরে হামলা চালিয়ে ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ৪টি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফাইয়াজুল হক রাজু।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বরং তাদের লোকের ওপর হামলার পাল্টা অভিযোগ করেছে।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী ফাইয়াজুল হক রাজু জানান, গতকাল দুপুর ২টার দিকে ওই উপজেলার মরিচবুনিয়া থেকে ঈগল প্রতীকের পক্ষে মোটরসাইকেল মিছিল নিয়ে বানারীপাড়া পৌর শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। বাইশারী কলেজের উত্তর পাশ অতিক্রমকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানাসহ তাদের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বহরে হামলা চালায় এবং গুলি করে। এতে তাদের ৪০ কর্মী আহত হন। হামলাকারীরা ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং ৪টি ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে জানিয়ে রাজু বলেন, সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা কী ব্যবস্থা নেয় দেখব।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা বলেন, মোটরসাইকেল পোড়ানো বা ভাঙচুরে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয়। বরং ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা বিশারকান্দিতে গিয়ে দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্তসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। ওই ঘটনায় ১০-১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে যখন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার তৎপরতা চলছিল তখন হামলাকারীরা বাইশারীতে গিয়ে একাধিক পুরনো মোটরসাইকেল সড়কের ওপর ফেলে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। রাজু সাধারণ মানুষের সহানুভূতি পেতে নিজেদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মাইনুল ইসলাম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ১২টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪টি ভাঙচুর করা হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানি না। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদার বলেন, গুলির কোনো আলামত পাইনি। ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ৪টি ভাঙচুর অবস্থায় পেয়েছি। এ ঘটনায় ওসিকে দ্রুত মামলা করে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরো পড়ুন : মুন্সিগঞ্জে নৌকার নির্বাচনি ক্যাম্পে ভাঙচুর-গুলিবর্ষণ