মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জে দুর্নীতির মাধ্যমে কলেজ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সুবিদখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। তার পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার মিছিল ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে সুবিদখালী সরকারি কলেজ চত্বরে এ মানববন্ধন করেন তারা।
এর আগে তারা উপজেলা পরিষদে মানববন্ধন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আসাদুজ্জামান। এরপর থেকে শুরু হয় তার রাজত্ব। মাত্র ৬ বছরে কলেজের বিভিন্ন খাত থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১২ কোটি টাকা। কলেজের নিজস্ব ১২টি দোকান ঘর রয়েছে। যার আয়-ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট কোন হিসেবে নেই। দোকান ভাড়ার টাকা কোন একাউন্টেও নেই। এসব অর্থ দিয়ে তিনি পটুয়াখালী শহরে পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন এবং ২৬ লক্ষ টাকার গাড়ি কিনেছেন। তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়াও এইচএসসিতে সরকার ধার্যকৃত ফি ১ হাজার হলেও তিনি এক্ষেত্রে ২ হাজার ৭০০ টাকা নির্ধারণ করেন। একইভাবে ডিগ্রীতে ভর্তি ফি ৪৮৪ টাকার স্থলে ২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে অনার্সের ভর্তি ফি ৪৮৫ টাকার পরিবর্তে ৪ হাজার ৬০০ টাকা নেওয়া হয়ে থাকে। বিনা ভাউচারে তিনি নির্বাহী অফিসারের কাছে ভুয়া নোট দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের ৫০ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকের সুবিদখালী শাখা থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভাঙ্গিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। তিনি বিভিন্ন বছরের প্রমোশন বাবদ ১ হাজার ও প্রশংসা ফি বাবদ ৫০০ টাকা প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করে ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছেন। বৃক্ষ রোপণ বাবদ কলেজে বরাদ্দ আসলেও কোথাও গাছের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলেও তারা জানান।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আজাদ বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি করিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, কলেজে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।