দেশীয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ ক্ষতিকর সাকার মাছ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গত ১১ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এর আগে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সাকার মাছ নিষিদ্ধ করতে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’র ১৮ নম্বর ধারা সংশোধন প্রস্তাব প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, এই মাছ দেশের জন্য ক্ষতিকর বলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালিয়ে আসছে মৎস্য অধিদপ্তর। বর্তমানে সাকার মাছ নদী-নালা, খাল-বিল ও চাষের পুকুরে চাষ করা মাছের সঙ্গে ব্যাপকভাবে ধরা পড়ছে; যা জীববৈচিত্র্য তথা দেশীয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, দ্রুত বংশবৃদ্ধির কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা করে সাকার মাছ। দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেণু খেয়ে বংশ বিস্তারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এই মাছ। এছাড়া দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছসহ জলজ পোকামাকড়, শ্যাওলা, ছোট শামুকজাতীয় প্রাণী খেয়ে সাকার মাছ পরিবেশের সহনশীল খাদ্যশৃঙ্খল নষ্ট করে। জলাশয় পাড়ের ক্ষেত্রবিশেষ ৫ ফুট পর্যন্ত গর্ত করে পাড়ের ক্ষতি করে এবং জলাশয়ের উত্পাদন ও উৎপাদনশীলতা কমায়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ গতকাল বলেন, সাকার মাছ নিয়ে আমরা গবেষণা করেছিলাম, তাতে এই মাছে হেভিমেটাল পাওয়া গেছে; যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এই মাছ জলজ পোকামাকড়, শ্যাওলা ইত্যাদি খেয়ে ফেলে; যা অন্যান্য মাছের খাবার। শুধু তাই নয়, ছোট ছোট মাছও খেয়ে ফেলে সাকার মাছ।
আরো পড়ুন : নেত্রকোনার আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ