দেশে করোনায় ৫১ -৮০ বছরের মধ্যে আক্রান্তদের ৭০ শতাংশ মারা গেছেন

জাতীয় প্রচ্ছদ স্বাস্থ্য কথা হ্যালোআড্ডা

দেশে করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও মাস্ক খুলে ফেলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। দেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে, কম ময়মনসিংহ বিভাগে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।

আজ রবিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

তিনি বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারিতে চার শতাংশের মতো শনাক্তের হার ছিল, কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারিতে তিন দশমিক ৬৫ শতাংশ, ধীরে ধীরে তা তিন দশমিক ৩৫ শতাংশ হয়েছে। এভাবে কমতে কমতে গতকাল শনাক্তের হার ছিল দুই দশমিক ১১ শতাংশ। কভিড পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটা স্টেবল বা স্বাভাবিক পর্যায়ের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পেরেছি।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বেশির সম্ভাব্য সংক্রমণের হার থাকলেও আমরা মৃত্যু খুব বেশি দেখিনি। দেশে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের মধ্যে মৃতের হার হলো ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। দীর্ঘদিন আমাদের এগুলো মেনে চলতে হবে।

রোবেদ আমিন বলেন, বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর হার যদি দেখি, সেক্ষেত্রে দেখা যাবে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে, যা প্রায় ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। চট্টগ্রামে ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ, খুলনায় ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ, রংপুরে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, সিলেটে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ৩৭ ও ময়মনসিংহে ৩ দশমিক ০২ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, বয়সভিত্তিক বিবেচনায় ৫১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আক্রান্তদের ৭০ শতাংশ মারা গেছেন। এর মানে এই নয় যে ৫০ বছরের নিচে কোনো মৃত্যু নেই। ৪১ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত ১১ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও ২১ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *