যুব পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত; দ্রব্যমূল্য ও খাদ্য সংকটে মানুষ দিশেহারা-….……আ স ম রব
জাতীয় যুব পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ২২ ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, যখন কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন ও দারিদ্র সীমার নিচে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার সংগ্রহ করতে পারছে না তখনও সরকার অর্থের অপচয় করেই যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য ও খাদ্য সংকট জনগণের নাগালের বাইরে চলে গেছে, ৪৩ শতাংশ মানুষ খাদ্য ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। দেশবাসীর কষ্টার্জিত টাকার এত ভয়ংকর অপচয় বিশ্বের কোন রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়, শুধু বাংলাদেশ ছাড়া।
মানুষকে অভুক্ত রেখে আতশবাজির আয়োজন দেশের জনগণের প্রতি সরকারের নিষ্ঠুরতার প্রকাশ। ঢাকা টরেন্টো ফ্লাইট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার নামে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উচ্চাবিলাসী ভ্রমণ জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। রাষ্ট্রীয় সম্পদের হরিলুট এবং পাচার কেবলমাত্র জনবিচ্ছিন্ন সরকারের পক্ষেই সম্ভব, কোন দেশপ্রেমিক সরকারের পক্ষে নয়। এ সরকার লুণ্ঠনকারীদের পক্ষে আর জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আ স ম রব প্রবাসীদের অর্থায়নে উপজেলা শিল্পাঞ্চল, দরিদ্র নারী পুরুষের জন্য মাইক্রো
ক্রেডিট এবং বৃহৎ পুজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘সামাজিক ব্যবসা’ চালু করার আহ্বান জানান।
আজ জাতীয় যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের ১ম অধিবেশনে প্রধান অতিথির ভাষণে আ স ম আবদুর রব উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
বেলা ১১ টায় পল্টনস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল উদ্বোধন করেন জেএসডির স্থায়ী কমিটির সদস্য মিসেস তানিয়া রব। কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, জনাব মোশারফ হোসেন।
জাতীয় যুব পরিষদের আহ্বায়ক এস এম শামসুল আলম নিক্সন এর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন যুবনেতা শফিকুল ইসলাম শফিক, আব্দুল মালেক গাজী, দিদার হোসেন, আবু মুসা, রিয়াজ হোসেন, হান্নান হাওলাদার, শ্যামল সরকার, সহ জাতীয় যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।
বেলা তিনটায় দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে জনাব এস এম শামসুল আলম নিক্সনকে সভাপতি ও শফিকুল ইসলাম শফিককে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় যুব পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয় এবং সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।