‘আমার সময় শেষ, এখন আমি অবসরপ্রাপ্ত’- সম্প্রতি ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন কলকাতা বাংলার দাপুটে অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। পর্দার ‘ফেলুদা’র আচমকা এমন মন্তব্যে হতবাক তার ভক্তরা। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে টলিপাড়ায়।
অনেকের মনে প্রশ্ন, হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত? তবে কি কোনও চাপা অভিমান?
যদি সব্যসাচী চক্রবর্তীর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোনও অভিমান নেই, বুড়ো হয়ে গিয়েছি, কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলাম, আমি অসুস্থ, আর এবার নতুনদের জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
গত ১৪ জানুয়ারি, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সেই উৎসবের উদ্বোধনী ছবি ছিল ফাখরুল আরেফিন খান পরিচালিত ‘জেকে ১৯৭১’ । এই ছবিতে অভিনয় করেছেন সব্যসাচী।
অবসর প্রসঙ্গে অভিনেতার স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস। তবে তিনি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
সব্যসাচী চক্রবর্তীর ছেলে গৌরব চক্রবর্তী ভারতের সংবাদমাধ্যমকে জানান, তার কাছেও এখনও স্পষ্ট নয়, বাবা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সব্যসাচী চক্রবর্তী অভিনীত ‘জেকে ১৯৭১’ ছবির গল্প ২৮ বছর বয়সী এক দুরন্ত সাহসী যুবককে নিয়ে। যিনি কিনা একজন ফরাসি নাগরিক, নাম জ্যঁ ক্যুয়ে। ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারওয়েজের একটি বোয়িং ৭২০ বিমানের ককপিটে উঠে পড়েন । তার ব্যাগে বোমা ও হাতে বন্দুক। বিমানটিকে রানওয়েতে পাঁচ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থীদের জন্য ২০ টন ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। সেই ফরাসি যুবককে নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘জেকে ১৯৭১’। এই ছবিতেই ছবিতে এক পাকিস্তানি পাইলটের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘ফেলুদা’ খ্যাত সব্যসাচী চক্রবর্তী।
আরো পড়ুন : গঠনমূলক প্রচেষ্টা ও সেবার মানসিকতা দেশের প্রয়োজনীয় রক্তের চাহিদা মেটাতে পারে