নিজস্ব প্রতিবেদক : বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ ৩১টি সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠন। তবে একই সঙ্গে সংগঠনগুলো দাবি জানিয়েছে, এর পরিবর্তে নতুন করে যেন কোনো ধরনের নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন না করা হয়।
সোমবার যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলো বলেছে, আগের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার পরিবর্তে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ছাড়াও সাধারণ মানুষ এ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়।
স্বাধীন–সার্বভৌম রাষ্ট্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নিবর্তনমূলক আইন কখনোই থাকতে পারে না মন্তব্য করে সংগঠনগুলো বলেছে, দেশের সংবিধানের মৌলিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনের মাধ্যমে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তথা বাক্স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এই আইনে গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, ছাত্র, শিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। এ আইনকে বিরোধী মত দমনের অন্যতম হাতিয়ারও বানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কিছু জামিন অযোগ্য ধারা জামিনযোগ্য করা হবে। মানহানির অভিযোগের মামলায় কারাদণ্ডের পরিবর্তে জরিমানার বিধান থাকবে। এতে সাংবাদিক হয়রানি বন্ধ হবে।
তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে নতুন আইন করার আগে সবার মত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এসব সংগঠন। বিবৃতিতে তারা বলেছে, নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হবে সেই আইন যেন গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হয়রানির হাতিয়ারে পরিণত না হয়।
সরকার বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটি রহিতের নীতিগত অনুমোদন হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে সরকার এখন সাইবার নিরাপত্তা আইন–২০২৩ নামে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরো পড়ুন : আগামী গ্রীষ্মে সৌদি নয়, লিভারপুলের হয়ে খেলবেন মোহাম্মদ সালাহ