নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৫-এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

আন্তর্জাতিক ইতিহাস-ঐতিহ্য ওকে নিউজ স্পেশাল খেলাধুলা নারী প্রচ্ছদ বিনোদন বিনোদন অন্যান্য সফলতার গল্প হ্যালোআড্ডা

ক্রীড়া প্রতিবেদক : নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৫-এর ফাইনাল ম্যাচে প্রথমবারের মতো ভারতের মহিলা দল শিরোপাজয়ী করল। ২ নভেম্বর রবিবার বিকেলে ভারতের মুম্বাইয়ের ডি.ওয়াই. প্যাটিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্ককে এক্সট্রা কাভারে হারমানপ্রীত কৌরের ক্যাচ বানিয়ে ভারতকে জয়ে এনে দিয়েছেন দীপ্তি শর্মা। ভারতীয় অফ স্পিনারের এটি পঞ্চম উইকেট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। ভারতের শুরু ছিল ভালো-ওপেনিং জুটি দ্রুত রান তোলেন, বিশেষ করে শফালি ভের্মা ও স্মৃতি মন্ধনা প্রথম উইকেটে শতাধিক রান যোগ করেন। এরপর ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২৯৮/৭ রানে।

জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা লাগাতার চেষ্টা করলেও যথেষ্ট বড় সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়। শেষপর্যায়ে ভারত জয় নিশ্চিত করে ৫২ রানের ব্যবধানে-দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস হলো কিছু কম রান বা তুলনামূলকভাবে কম সংগ্রহে থেমে যায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ভারত            : ৫০ ওভারে ২৯৮/৭ (শেফালি ৮৭, দীপ্তি ৫৮, স্মৃতি ৪৫, রিচা ৩৪, জেমাইমা ২৪; খাকা ৩/৫৮, ট্রাইঅন ১/৪৬, এমলাবা ১/৪৭, ডি ক্লার্ক ১/৫২)।

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৫.৩ ওভারে ২৪৬ (ভলভার্ট ১০১, ডার্কসেন ৩৫, লুস ২৫, ব্রিটস ২৩; দীপ্তি ৫/৩৯, শেফালি ২/৩৬)।

ফল                : ভারত ৫২ রানে জয়ী।

প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল: শেফালি বর্মা

প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট: দীপ্তি শর্মা

ভারত ২৯৮ রান করার পরই মূলত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন হতে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। অধিনায়ক লরা ভলভার্টের ব্যাটে সেই স্বপ্নই দেখছিল দলটি। অন্য পাশে নিয়মিত উইকেট পতন হলেও ভলভার্ট পথের কাঁটা হয়ে ছিলেন ভারতের। ৪২তম ওভারে তিনবারের চেষ্টায় ক্যাচ নিয়ে সেই কাঁটা উপরে ফেলেন আমানজোত কৌর। এরপর দ্রুতই দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করেছে ভারত। সেঞ্চুরি করেও শেষ পর্যন্ত রানার্সআপ হয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে ভলভার্টকে।

এই জয়ে ভারত প্রথমবার মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়-৪৭ বছরের ইতিহাসে এটি একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। আগের আসরে গতিতে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের আধিপত্য ছিল। এবার সেই ধারা বিনষ্ট হয়।

ভারতের এই সাফল্যে ঊষরোচিত আনন্দ এবং জাতীয় স্তরে উৎসবস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

আরো পড়ুন : অর্থনীতির জন্য গলায় ফাঁস হবে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলায় না আনা

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *