নূরের সঙ্গে আর কাজ করবেন না জানিয়েছেন ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেছেন, নূরকে চিনতে ভুল করেছি, আমি বিশ্বাস ঘাতকতার শিকার।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে রেজা কিবরিয়া এ দাবি করেন।
নূরর ইসরাইলি অর্থের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত করা উচিত বলেও মনে করেন রেজা। তিনি বলেন, আশ্চর্যজনকভাবে তারা নিষ্ক্রিয়।
রেজা কিবরিয়া বলেন, বিশেষ করে বিপ্লব পোদ্দার নামে এক লোক চিৎকার দিতে শুরু করল। তখন মিটিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত মিটিংটা ভেঙে যায়।
আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য নূর দলের বেশ কয়েকজনকে ২ কোটি টাকা করে অফার দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন রেজা।
তিনি বলেন, সবখানেই এটা প্রকাশ পেয়েছে যে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমাদের সদস্য সচিবের দুবাইয়ে মিটিং হয়েছে। দুবাই ও শারজাহর মাঝখানে একটি কফি শপে মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে তার বৈঠক হয়। সেটা নূর গত ১৮ জুন হওয়া মিটিংয়ে আমাদের সামনে স্বীকার করেছেন। কারণ দুবাইয়ে যে গাড়ি চালিয়ে তাকে নিয়ে গেছে সেই ব্যক্তি আমাকে বিষয়টি বলেছে।
তিনি আরও বলেন, নূর বলেছেন যে দুবাই পুলিশ যখন জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা মিথ্যা কথা বলে না। কারণ তাদের কন্ট্রাক্ট বাতিল করার ভয় থাকে। তারা ওখানে চাকরি করে সত্য কথাটাই বলে। তারা ওখানে মিটিংয়ে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেছে। সেখানে গাড়িতে চারজন ছিল। নূর একটা ব্যাগ নিয়ে বের হয়েছে সেটাও ঠিক। ব্যাগের ভেতর কী ছিল সেটা কেউ জানে না।
উল্লেখ্য, গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে গণঅধিকার পরিষদ জানায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় ড. রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তার জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
আরো পড়ুন : রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের তুমুল লড়াই চলছে দোনেৎস্কে
