পদ্মা সেতু উদ্বোধন এবং জনসভাকে কেন্দ্র করে পদ্মাপারে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ সোমবার (২০ জুন) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে সভার সিদ্ধান্তগুলো লিখিতভাবে গণমাধ্যমকে জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফ আহমুদ।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেউ যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি।
খোলা হবে পুলিশের কন্ট্রোলরুম।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিক, কূটনীতিকদের অনুষ্ঠানে প্রবেশ ও অবস্থানকালে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে।
সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে আসা ও যাওয়ার পথে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ এবং অতিথিদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা। নাশকতা এড়াতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো। এ সময় পুলিশের পাশাপাশি পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী রাখা। জরুরি প্রয়োজনে পানি, স্বাস্থ্যসেবা দিতে অ্যাম্বুল্যান্স ও মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জসহ পদ্মা সেতুর আশপাশের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা, সিনিয়র সচিব, সেতু বিভাগের কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা, গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন : চোখের পলকে ঘরটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়