নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বামীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়ার পাঁচ বছর পর এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত বুধবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বারণটেক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারীর নাম সালেহা খাতুন (৪৭)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সালেহা খাতুন নিজের নাম-ঠিকানা গোপন করে বারবার স্থান পরিবর্তন করছিলেন। গ্রেপ্তারের পর আঙুলের ছাপ মিলিয়ে পুলিশ তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয়।
ক্যান্টনমেন্ট থেকে সালেহাকে গ্রেপ্তার করেন রাজধানীর পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খালিদ হাসান। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বলেন, মো. মহসিন নামের এক সেনাসদস্যের সঙ্গে সালেহার বিয়ে হয়। তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে। একপর্যায়ে সালেহা একজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরই মধ্যে মহসিন অবসরে যান।
পুলিশের এই কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, সালেহা তাঁর পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য মহসিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর সহযোগীদের নিয়ে মহসিনের পুরুষাঙ্গ কেটে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি। পরে লাশ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
পরদিন নিহত মহসিনের ভাই মজনু মিয়া সালেহা ও তাঁর সহযোগীদের আসামি করে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় সালেহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে বিয়ে করেন। এর পর থেকে ‘আত্মগোপনে’ ছিলেন। ওই সংসারে সালেহার কোনো সন্তান নেই।
এসআই খালিদ হাসান বলেন, স্বামীকে খুনের মামলায় ২০১৭ সালে সালেহার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এই পাঁচ বছর সেই পরোয়ানা পল্লবী থানাতেই ছিল। সালেহাকে গ্রেপ্তারের পর তিনি নিজের পরিচয় গোপন করলে তাঁর প্রথম ঘরের দুই ছেলেকে থানায় ডেকে আনা হয়। তখন তাঁরা সালেহাকে ‘মা’ বলে শনাক্ত করেন।
আরো পড়ুন : আইইউবিতে ‘ক্যারিয়ার অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং ডে ২০২৩’ অনুষ্ঠিত