বিশ্বকাপের আগে কজনই বা মরক্কোকে গোনায় ধরেছিল। সেই মরক্কো পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রেখেছে ।
অথচ তিন মাস আগেও কোচ ছাঁটাই করে ছন্নছাড়া ছিল দলটি। কিন্তু ওয়ালিদ রেগ্রাগুই দায়িত্ব নিয়েই সবকিছু যেন জাদুর পরশে বদলে দিলেন। তার অধীনে কাতার বিশ্বকাপে রূপকথা লিখে চলেছে মরক্কো। তবে সেমিফাইনালে পৌঁছেই রূপকথার শেষ টানতে চান না ওয়ালিদ। তাদের স্বপ্নটা এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার যে ইতিহাস লিখতে হবে খেলোয়াড়দের সেই কথা আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন মরক্কো কোচ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, আমরা পর্তুগালের মতো অসাধারণ একটা দলের মুখোমুখি হয়েছি। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই খেলেছি, অধিনায়ক ইনজুরিতে পড়েছিল কিন্তু তারপরও সবাই লড়াই করেছে। ম্যাচের আগে আমি তাদের বলেছিলাম, আমাদের আফ্রিকার ইতিহাস লেখতে হবে, সেটা করেছিও। আমরা উন্নতি করছি, নিজেদের গুণাবলি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।
ওয়ালিদ আরও বলেন, আমরা ওইসব মানুষদের খুশি করার জন্য একটি মানসিক অবস্থা তৈরি করেছি। ভেবেছিলাম কখন এই পথটি অতিক্রম করতে পারব, আজ সেটা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়।
মরক্কোকে নিয়ে সমালোচনার কোনো কারণই খুঁজে পান না ওয়ালিদ। তিনি বলেন, তারা (পর্তুগাল) স্পেনের চেয়েও বেশি সমস্যায় ফেলেছে আমাদের। তাদের প্রচুর টেকনিক্যাল গুণ আছে। আমি বুঝি না, কেউ কীভাবে আমাদের নিয়ে সমালোচনা করতে পারে। আমরা নিজেদের মতো করেই খেলেছি, নিজেদের অস্ত্র নিয়েই লড়েছি।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর সেমিফাইনালে মরক্কোর প্রতিন্দ্বন্দ্বী হবে ফ্রান্স-ইংল্যান্ডের মধ্যকার জয়ী দল।
আরো পড়ুন : সাতজন এমপির পদত্যাগসহ বিএনপির ১০ দফা