ফেনীতে দুই যুবকের প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গুলি ছোড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতের বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অস্ত্রধারীরা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মী বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রদল। অবরোধের সমর্থনে বের করা মিছিলে ওই দুজন গুলি চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম। তবে গুলি ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছে জেলা ছাত্রলীগ-যুবলীগ। এদিকে ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পুলিশ কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, সাত থেকে আটজনের একটি দল। তাদের মধ্যে দুজনের হাতে শটগান। বাকিদের হাতে হকিস্টিক। একটি দোকানের সামনে জড়ো হয় তারা। এর মধ্যে শটগান হাতে থাকা দুই যুবক পরপর কয়েকটি গুলি ছুড়ে চলে যান। গুলি ছুড়তে থাকা দুই যুবকের একজনের মাথায় হেলমেট ও অন্যজনের গলায় মাফলার প্যাঁচানো ছিল।
ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম বলেন, অবরোধের সমর্থনে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বের করা মিছিলটি তাকিয়া রোড হয়ে ট্রাংক রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ধাওয়া করে গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং মিছিলে অংশ নেওয়া ২ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি আহত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাঁদের চিকিৎসা করাও কঠিন। নাম জানালেই পুলিশ তাঁদের মামলায় জড়িয়ে দেবেন।
জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির বলেন, ওই দিন দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হলেও যুবলীগ-ছাত্রলীগ কোনো অস্ত্র ব্যবহার করেনি। আমাদের কাছে কোনো অস্ত্র নেই।
ফেনী মডেল থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গুলি ছোড়ার ভিডিওটি তাঁরা দেখেছেন। পুলিশ এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। কারা সেদিন রাতে হামলা করেছে এবং অস্ত্রধারী কারা শনাক্ত করতে পারলে তারা যে দলের হোক আইনের আওতায় আনা হবে।
আরো পড়ুন : শেষদিনও দলীয় মনোনয়নপত্র নেননি দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশনপন্থিরা