বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে বাংলাদেশ–কাতার সরকারের মধ্যে একটি কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যৌথ ব্যবসায়িক ফোরাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুই দেশের বেসরকারি খাতগুলোকে পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের জন্য একক প্ল্যাটফর্মে আনতে হবে।
আজ সোমবার কাতারের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত দোহা ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৩–এ ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়ালস অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’–এ প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই দেশকে পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ককে পুনঃস্থাপন করতে হবে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি কাতারের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদলকে শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ ছাড়া কাতারে বসবাসরত অনাবাসী বাংলাদেশিদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং জাতি গঠন প্রচেষ্টায় তাঁদের অংশগ্রহণ কামনা করেন।
নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাতে কাতারের বিনিয়োগের সুযোগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অফশোর গ্যাস অনুসন্ধান ও জ্বালানি বিতরণব্যবস্থায় কাতারের দক্ষতা থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে।
বাংলাদেশের কৃষি প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটিও কাতারের সঙ্গে বাই-ব্যাক ব্যবস্থায় কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করে। এ সময় সরকারের তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনার উল্লেখ করেন তিনি বলেন, সেখানে কাতার রিয়েল এস্টেট এবং হসপিটালিটি—উভয় ক্ষেত্রেই জড়িত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাতারের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ বিবেচনা করতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বন্ড মার্কেটকে একটি দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা শিগগিরই পুঁজিবাজারে ডেরিভেটিভ পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে ব্যাঘাত বাংলাদেশের মতো দেশকে কঠিন জায়গায় ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আমরা কাতার থেকে এলএনজি আমদানি বাড়াতে আগ্রহী। আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও রপ্তানির সুযোগ অন্বেষণ করতে কাতারকে অনুরোধ করছি।’
আরো পড়ুন : সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের ৩ মালিকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা