ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের টাউন হল এলাকায় বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় তিন জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় বিএনপির একটি সূত্র দাবি করেছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ বলেন, রাত পৌনে নয়টার দিকে টাউন হল এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা।
এদিকে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নওশেল আহমেদ দাবি করেন, ছাত্রলীগ কোনো হামলা করেনি। এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা যুবলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ধরেননি।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এবং জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ময়মনসিংহে এ বিভাগীয় সমাবেশ হবে।
রাতে সমাবেশস্থলে অবস্থান: আগামীকাল সমাবেশে আসার পথে বাধা দেওয়া হতে পারে আশঙ্কা করে আজ রাত থেকেই বিএনপির শত শত নেতা-কর্মী ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে অবস্থান নিয়েছেন। রাত ১০টার দিকে সমাবেশস্থল মাঠে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সমাবেশ উপলক্ষে নেত্রকোনা জেলা থেকে ময়মনসিংহগামী যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সৈয়দ এমরান সালেহ। তবে নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এদিকে আগামীকাল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির ময়মনসিংহ জেলার সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো স্থানে সমাবেশ করব না। তবে কোথাও বিএনপির নেতা-কর্মীরা কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে প্রতিহত করা হবে।’
আজ রাত নয়টার দিকে সমাবেশস্থলে কথা হয় নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নেত্রকোনায় আজ থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার আরও কঠোর হবে আওয়ামী লীগ ও সরকার। কাজেই রাতেই চলে এসেছি।’
নেত্রকোনার মদন থানার মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নাহারও আজ রাত থেকে মাঠে অবস্থান করছেন। তিনি দলের কর্মীদের নিয়ে রাতে মাঠেই থাকবেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সার্কিট হাউস মাঠে সমাবেশের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। তবে স্থানীয় প্রশাসন সেখানে অনুমতি না দিয়ে পলিটেকনিক মাঠে অনুমতি দিয়েছে।
অনুমতি পাওয়ার পর আজ বিকেল থেকে বিএনপির নেতা–কর্মীরা পলিটেকনিক মাঠে জড়ো হতে থাকেন। রাত আটটা নাগাদ মাঠে শত শত নেতা–কর্মীর জমায়েত লক্ষ করা গেছে।
আরো পড়ুন : আজ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী, মামলা শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে হাইকোর্ট