পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ১০ বছর আগে পথ ভুলে চলে আসেন রাবেয়া বেগম নামে এক মানুষিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধা। ঘুরতে ঘুরতে তার ঠাঁই হয় উপজেলার বোথলা গ্রামে। শুক্রবার বিকেলে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়- একটি ঝুপড়ি ঘরে বিস্ময়ে তাকিয়ে আছেন তিনি। তার চোখে-মুখে আছে স্বজনদের কাছে ফিরে যাওয়ার আকুতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পথ ভুলে ২০১২ সালের মার্চে এখানে চলে আসেন ৯০ বছর বয়সী রাবেয়া। স্বামী, সন্তান, নিজ ঠিকানা কিছুই বলতে পারেন না তিনি। বোথলা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী হেদায়েতুল ইসলাম আকন প্রথমে তার বাড়িতে আশ্রয় দেন । ৪-৫ দিন পর বাড়ির কাছাকাছি একটি পরিত্যক্ত স্থানে ঝুপড়ি ওই বৃদ্ধার ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেন। তার পর থেকে তাকে প্রতিদিন খাবারসহ সেবা করে আসছে আকন।
হেদায়েতুল ইসলাম আকন জানান, ওই বৃদ্ধাকে আমি নানি ডাকি।যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে তার খোঁজ রাখি। মাঝে মাঝে নানিকে ফ্যাল ফ্যাল করে কাঁদতে দেখি। কিন্তু আপন ঠিকানায় পৌঁছানোর জন্য যখনই পরিচয় জানার চেষ্টা করি তখন কিছুই বলতে পারে না। সে। তবে ১০ বছরের মধ্যে একদিন অস্পষ্ট ভাষায় বলেছিল- নিজের নাম রাবেয়া, স্বামীর নাম মহারাজ। মেয়েদের নাম মনোয়ারা, রেনু , রাশিদা ও মর্জিনা। ছেলেদের নাম মইনুদ্দিন, আইনউদ্দিন ও বোরহানউদ্দিন। বাবার নাম মজিদ, ভাইদের নাম কাদের, মোয়াজ্জম ও সাদেক। তার স্বামী আর ছেলেরা কাজবাজ করে। বাড়ি ঢাকার কাছাকাছি।এর বেশি কিছু আর কখনো জানতে পারিনি। ওই সময় শুধু বলেছিল নানু আমাকে একটু বাড়ি পাঠিয়ে দাও।