ঝালকাঠি: ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় আমুয়া বন্দরে চুরির অপবাদ দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে দুই ধফায় মারধরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রভাবশালী রাসেল গোলদারসহ তার দলবল কথিত মটার চুরির অপবাদ দিয়ে ব্যবসায়ী হাছিবুর রহমানকে মারধর করে।
এ ঘটনায় বুধবার ১৫ মার্চ দুপুরে কাঠালিয়া প্রেসক্লাবে হাছিব ও তার পরিবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রভাবশালীদের বিচার দাবি জানান। অন্যথায় মিথ্যা চুরির অপবাদের লজ্জায় ভুক্ত ব্যবসায়ী মোঃ হাছিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আত্মহত্যার ঘোষনা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাছিব ও তার পরিবার উল্লেখ করেন, গত ০৯ মার্চ প্রতিবেশি নাইম গাজীর কাছে আমাদের ব্যবহৃত একটি অকেজ বৈদ্যুতিক মটোর এক হাজার তিনশত টাকায় বিক্রি করে।
পরের দিন ১০ মার্চ রাতে মোঃ রাসেল গোলদার, সুজন গোলদার, সোহেল গোলদার ও জসিম গোলদার ও মামুন হোসেনসহ একদল বখাটে যুবক নাইম গাজীর কাছে বিক্রয়কৃত মটোরটি তাদের দাবি করে।
হাছিব তাদের কথার প্রতিবাদ করলে উক্ত বখাটেরা তাকে মারধর করে এবং তার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মটেরটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘন্টাখানেক পরে মটোর কোম্পানীর মার্কা প্লেটটি পরিবর্তন করে ক্রেতা নাইম গাজীকে পুনরায় ফেরৎ পাঠায়।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো অভিযোগ করেন, পরে হাছিব বিষয়টি একই এলাকার বাসিন্ধা এক সাংবাদিকের কাছে কথা প্রসঙ্গে জানালে গত ১৪ মার্চ বখাটের দল পুনরায় তাকে মারধর করে। এনিয়ে সে বা তার পরিবার কোন বাড়াবাড়ি করলে বখাটেদের পক্ষে হানিফ মোল্লা ও তার ছেলে সোহেল মোল্লাসহ তার দলবল পরিনতি খারাপ হবে বলে হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ কবির গোলদারসহ একাধিক প্রতিবেশি জানান, হাছিবুর রহমান চোর না, সে মটোর চুরি করেনি এ কথা বলা স্বত্বেও বখাটে দলটি মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করে ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে মোঃ হাছিবুর রহমান ছাড়াও তার পিতা মোঃ ইসমাইল হোসেন, মা শিউলি বেগম, প্রতিবেশি শাহনাজ পারভীন শিমুল, মোঃ বজলুল খানসহ তার বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।
মো:দেলোয়ার হোসেন, ঝালকাঠি
আরো পড়ুন : হজ প্যাকেজের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করল ধর্ম মন্ত্রণালয়