দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আফ্রিকার দেশটিতে চলতি সপ্তাহে সফরে যাচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই নেতা।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে নেতারা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ সফর করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তবে কাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তা স্পষ্ট করেননি।
এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ ভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের মধ্যে চলতি বছরের জি-২০’র সব কার্যক্রম ও বৈঠকের সমাপ্তি হবে।
নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে জি-২০ নেতরা একটি ঘোষণা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের প্রধান আলোচিত বিষয় এবং সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নেতাদের প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করা হবে।
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য জোহানেসবার্গের চেয়ে নয়াদিল্লি ভালো হবে। বৈঠকের বিষয়ে ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে।
মোমেন আরও বলেন, আফ্রিকা একটি ‘উদীয়মান রাষ্ট্র’ এবং বাংলাদেশ এ মহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে আরও শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ততটা শক্তিশালী নয়। আমরা সেখানে দু’টি মিশন খুলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের নির্দেশনা দেবেন (বৃহত্তর প্রচেষ্টা করার জন্য)।
২০১৯ সালের পর এটিই হবে প্রথম সশরীরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। গ্রুপের গৃহীত উদ্যোগগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করার এবং ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার সুযোগ দেবে এই শীর্ষ সম্মেলন ।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পরে আয়োজিত একটি বিশেষ ইভেন্ট ‘ব্রিকস– আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ’-এ অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এতে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত অন্যান্য দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে। ইউএনবি
আরো পড়ুন : স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে