ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রাব্বুল হোসেনের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রæহন করা হবে না সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুসকে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান কটুক্তি, কুরুচিপূর্ণ, মানহানীকর এবং নারীর ক্ষমতায়নকে অবমূল্যায়নকর বক্তব্য দেওয়ার কারোনে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২২ জুন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা শাখা-১ এর উপসচিব ড. মাসুরা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। বক্তব্য প্রদানের অভিযোগটি অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের শামিল হওয়ায় পরবর্তী সময়ে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
উলেখ্য, ১৯ জুন সোমবার বিকালে মেডিকেল মোড়ে ভোলাহাট উপজেলা যুবলীগের ডাকে শান্তি সমাবেশে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে তাবাসসুমকে ঈদের পর গামছা পরিয়ে বিদায় করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাকে বরখাস্ত করার জন্য উৎপাত চলছে। আমার উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের বেতন টিএডিএ দেওয়া হচ্ছে না, আমার ড্রাইভারের ওভারটাইম দেওয়া হচ্ছে না। শুধু জামায়াত-বিএনপি নয়, প্রশাসনে বসে শেখ হাসিনার নাম ভাঙিয়ে যারা চলছে তাদের সঙ্গে বর্তমান ইউএনও যড়যন্ত্রে যুক্ত।
তিনি ইউএনওকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ঈদের পরে ইউএনও উম্মে তাবাসসুমকে গামছা পরিয়ে এখান থেকে বিদায় করা হবে। দাঁত ভাঙা জবাব কেউ দেখেনি, ঈদের পরে আসল রূপ দেখতে পাবে। তার এ বক্তব্যের একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
গোলাম কবির- ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ