মেয়র নির্বাচিত হতে সেবার জন্য ২৮ দফার কথা জানালেন আজমত উল্লা

জনদুর্ভোগ নির্বাচন পুরুষ প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

গাজীপুর প্রতিনিধি : নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, নাগরিক সনদসহ বিভিন্ন সনদের ফি, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধের ব্যবস্থা এবং ওয়ার্ডগুলোকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা ও ফ্রি ওয়াইফাই জোন করার উদ্যোগ নেবেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মেয়রপ্রার্থী আজমত উল্লা খান।

রোববার বেলা ১১টায় মহানগরীর প্রকৌশল ভবনের হলরুমে ইশতেহার ঘোষণাকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে নগরবাসীর সেবার জন্য ২৮ দফা কর্মসূচি হাতে নেবেন।

তিনি বলেন, অভিজ্ঞ নগরবিদ ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে বিশ্বমানের একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে জনগণের সেবা নিশ্চিত করা হবে। হোল্ডিং করের হার না বাড়িয়ে রিভিউ বোর্ডের মাধ্যমে সহনশীল পর্যায়ে চূড়ান্ত করবেন। সিটির পক্ষ থেকে সব নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবেন।

বিশেষ করে স্বল্পমূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবা, দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মৃত্যুর পর প্রয়োজন অনুযায়ী কাফনের কাপড়ের ব্যবস্থা করা এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রমিক, বস্তিবাসী ও দরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য কার্ড/লাল কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সেবাদানকারী স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমন্বয় করে সব নাগরিকের সুপেয় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করবেন।

যানজট নিরসন, পার্কিং, ফুটপাথসহ যোগাযোগব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করবেন।

তিনি শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজনে জিসিসির অধীনে কারিগরি ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাসহ নগরীতে অবস্থিত স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও এতিমখানাসমূহে সাহায্য প্রদান করবেন।

এ ছাড়া অনাথ, গরিব, যোগ্যতাসম্পন্ন মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, সিটির নিজস্ব পাঠাগারের আধুনিকীকরণ, নতুন পাঠাগার প্রতিষ্ঠা এবং ব্যক্তি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারসমূহকে সহায়তা প্রদানের উল্লেখ করেন এই ইশতেহারে।

তিনি নির্বাচিত হলে শ্রমিক-কর্মচারী ও বস্তিবাসীদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবেন। তরুণদের বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ এবং বয়স্ক ও শিশুদের মিলনস্থল ও বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘ওয়ার্ড সেন্টার’ নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করাসহ কমিউনিটি সেন্টার, সেবাদান কেন্দ্র, আত্মরক্ষা ও বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।

তিনি নির্বাচিত হলে বর্জ্য ব্যবস্থার আধুনিকীকরণসহ বর্জ্য পরিশোধনকেন্দ্র স্থাপন এবং বর্জ্যকে জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তরিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসারের বিভিন্ন উদ্যোগসহ ক্রীড়া, পার্ক ও উদ্যান নির্মাণ, ঈদগাহ, কবরস্থান ও শ্মশানের উন্নয়ন এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহায়তা, প্রতিটি ওয়ার্ডে ঈদগাহ ও কবরস্থান নির্মাণ, শ্মশানগুলোর উন্নয়ন ও নির্মাণ করবেন।

তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে সমৃদ্ধ সুষম নগরী হিসেবে গড়ে তোলার স্বার্থে নৌকা মার্কায় সবার সমর্থন, দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেন।

এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিমুদ্দিন বুদ্ধিন, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল, অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, আব্দুল হাদী শামীম, আফজাল সরকার রিপন, মজিবুর রহমান, কাজী ইলিয়াস, মাসুদ রানা এরশাদ প্রমুখসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন : সিলেটে আলোচনায় মেয়রপত্নী, সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন শ্যামা হক

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *